আপনি কোন ধরনের চায় খেতে বেশি ভালবাসেন
চা বলতে একদা যে ধারণাটা ছিল সাধারণ মানুষের মনে, তার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে বিগত কয়েক বছরে৷ হরেক রঙে, স্বাদে, গন্ধে চা পাওয়া যায় আজকাল৷ এমনিতেই কফির চেয়ে চায়ের ক্যাফেইনের পরিমাণ কম৷ যাঁরা সেটুকু থেকেও দূরে থাকতে চান, তাঁদের জন্য ডি-ক্যাফ চা-ও রয়েছে৷ ইদানীং হেলথ ড্রিঙ্ক হিসেবেও প্রবল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে চা, এর মধ্যে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক যে অ্যান্টিঅক্সিডান্টটি আছে, তা ক্যানসার ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে বলে নানা মহলের মত৷ কোন ধরনের চা থেকে কী উপকার মেলে, সে সম্পর্কে একটা ধারণা দেওয়া হল৷
হোয়াইট টি: সব ধরনের চায়ের চেয়ে কম প্রসেসিংয়ের মধ্যে দিয়ে যায় হোয়াইট টি৷ খুব হালকা ফ্লেভার, ক্যাফেইনের মাত্রা খুব কম৷ চিনি, দুধ, মধু, লেবু কিচ্ছু যোগ না করে হোয়াইট টি পান করলে সবচেয়ে ভালো ফল মেলে৷
গ্রিন টি: গ্রিন টিকে ‘আনঅক্সিডাইজ়ড’ চা-ও বলা হয়৷ পাতা তোলার সঙ্গে সঙ্গেই তা গরম করা হয়, ফলে অক্সিডেশন ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব৷ হালকা হলদে-সবুজ গোছের লিকার বের হয়৷ মধু বা লেবু দিয়ে খেতে পছন্দ করেন অনেকে, তবে কোনও কিছু যোগ না করে খেলেই স্বাস্থ্যের পক্ষে সবচেয়ে ভালো৷ এই ধরনের চায়ে দুধ একেবারেই চলে না৷
ব্লু টি: অপরাজিতা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি হয় এই চা৷ অ্যান্টিঅক্সিডান্টে ভরপুর এবং প্রদাহ কমাতে উপযোগী৷ লিভারকে বেশি পিত্ত তৈরিতে সাহায্য করে, হজমশক্তি বাড়ায়৷ যাঁদের গা বমিভাবের মতো কোনও সমস্যা আছে, তাঁরা ব্লু টি খেলে উপকার পাবেন৷ ত্বকের জন্য খুব ভালো, উন্নত হয়ে ওঠে স্মৃতিশক্তি৷
ক্যামোমাইল টি: স্ট্রেস কমাতে দারুণ কার্যকর৷ যাঁদের চট করে ঘুম আসে না, তাঁরা রাতে শোওয়ার আগে ক্যামোমাইল টি খেয়ে দেখতে পারেন৷
পিপারমিন্ট টি: হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়৷ ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরাও উপকার পাবেন পিপারমিন্ট টি খেলে৷
হিবিসকাস টি: জবাফুলের নির্যাস থেকে তৈরি এই চা গরম বা ঠান্ডা দু’ভাবেই খাওয়া যায়৷ টুকটুকে লাল বা গোলাপিরঙের এই চা অ্যান্টিভাইরাল গুণে সমৃদ্ধ৷ রক্তচাপ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে কার্যকর৷
রোজ়হিপ টি: গোলাপগাছে যে ছোট্ট ছোট্ট ফল ধরে, তা থেকেই তৈরি হয় রোজ়হিপ চা৷ আর্থারাইটিসের ব্যথা কমাতে আর ত্বকের বলিরেখা দূর করতে পারে এই চা৷
No comments: