সারা সপ্তাহের ঘুমের অভাব এই ভাবে মিটিয়ে নেওয়া যায়
কাজের চাপ, সংসারের ঝক্কি সামলে বেশি বেলা পর্যন্ত ঘুমনোর সুযোগ আর ক’জন ভাগ্যবানের হয়? কিন্তু সেই অভাবটা যদি সপ্তাহান্তেও পূরণ করে না উঠতে পারেন, তা হলে আপনার শরীরে ঘুমের ঘাটতির পরিমাণ ক্রমশ বাড়তেই থাকবে৷
প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা নিশ্চিন্ত নিদ্রা প্রয়োজন হয় প্রতিটি মানুষের৷ এই নিয়মের ব্যাঘাত ঘটলেই হরমোন ইমব্যালান্স হয়, ক্রমশ পড়তে থাকে আপনার বিপাক ক্রিয়ার হার৷ আর এ সবের মিলিত ফল হিসেবে বাড়তে আরম্ভ করে ওজন৷ বাড়তি ওজনের সূত্রে হাজির হয় হাইপারটেনশন, টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো রোগের আশঙ্কা৷ ‘স্লিপ’ নামক পত্রিকায় একটি গবেষণা হয়েছিল ঘুম নিয়ে, সিওল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বুদাং হসপিটালের চাং-হো ইয়ান ছিলেন এই গবেষণার প্রধান লেখক৷ তাঁর মতে, কম সময়ের জন্য একটু ঝিমিয়ে নেওয়া বা ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যেস যাঁদের থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রেই ঘুমের ঘাটতির সমস্যাটা বড়ো হয়ে দেখা দেয়৷ তার ফলেই বাড়ে ওবেসিটি, হাইপারটেনশন, করোনারি হার্ট ডিজ়িজ়ের মতো সমস্যা৷ তাই ছোট ছোট ‘ন্যাপ’ নেবেন না, রাতের ঘুমের সময়টাকেই বাড়ানোর চেষ্টা করুন৷
কানাডার অটওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জঁ ফিলিপ কাপুত দীর্ঘদিন ঘুম নিয়ে গবেষণা করেছেন৷ তাঁর ধারণা, যাঁদের ঘুমের ঘাটতি হয় তাঁদের বার বার খিদে পায় এবং বেশি খাওয়ার কারণেই ওজন বাড়ার হারও বেড়ে যায়৷ কাপুত আরও বলেছেন, যদি ঘুম ভাঙার জন্য আপনার অ্যালার্ম ক্লকের প্রয়োজন পড়ে, তা হলে বুঝতে হবে যতটা ঘুম দরকার, ততটা পূর্ণ হওয়ার আগেই আপনি উঠে পড়ছেন৷ তাই সুস্থ থাকতে চাইলে অন্তত ছুটির দিনগুলো অ্যালার্ম ক্লক ধারে-পাশে ঘেঁষতে দেবেন না৷ চেষ্টা করুন শুক্র-শনি ও রবিবার রাতে অন্ততপক্ষে ঘণ্টা দুই-আড়াই বেশি ঘুমনোর৷ তবে এটা মনে রাখবেন, এক-আধদিন কোনও কারণে ঘুমের ঘাটতি হলে আলাদা কথা, সেটা যেন রোজের অভ্যেসে পরিণত না হয়৷ তাহলে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে পরবর্তীকালে৷
No comments: