স্বাদের পাশাপাশি পরিবারের স্বাস্থ্যের দিকটাও খেয়াল রাখছেন তো
খারাপ লাগলেও একটা সত্যি আপনাকে স্বীকার করতেই হবে -- লকডাউনে ঘরবন্দি থাকার অবসরে অনেক কিছুই শেখা গেল! বাড়ির সবাই একসঙ্গে থাকার এমন নিরবচ্ছিন্ন সুযোগ আগে মেলেনি। সবাই মিলে একসঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া হত কেবল ছুটিতে বেড়াতে গেলে। সেই সঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে যে পরিবারের সকলের প্রয়োজনীয় পুষ্টির বরাদ্দ ঠিক রাখা একান্ত জরুরি। এমন রান্না এড়িয়ে চলুন যা করতে অনেক সময় আর পরিশ্রম লাগে – কারণ বাড়ির সব কাজও নিজেকেই করতে হচ্ছে। আইটিসি মৌর্যের এগজিকিউটিভ শেফ রাজদীপ কাপুর বলছেন, "রান্না দারুণ একটি শিল্প, ভালো রান্না মানুষকে খুশি করে, আনন্দ দেয়। আর প্রিয়জনকে খুশি রাখতে কার না ভালো লাগে? তাই আমরা খুব সহজ একটি রেসিপি হাজির করছি আপনাদের কাছে।"
শেফ দুটি বিশেষ টিপস দিয়েছেন আপনাদের জন্য—
এক নম্বর, দই বেশি আঁচে কেটে যেতে পারে, তাই খিচুড়ি বেশি বেক করবেন না।
দু’ নম্বর, যাঁরা স্বাস্থ্যসচেতন, তাঁরা কিনওয়া বা ব্রাউন রাইস দিয়েও খিচুড়ি বানাতে পারেন।
বেকড স্প্রাউটস খিচুড়ি
উপকরণ
৩ টেবিলচামচ পেঁয়াজকুচি
১ চাচামচ জিরে
১ টি কাঁচালঙ্কা
১ চাচামচ হলুদগুঁড়ো
স্বাদ অনুযায়ী নুন
১ বড়ো চামচ টোম্যাটোকুচি
২ বড়োচামচ ফেটানো দই
1 চাচামচ গরম মশলা
১ কাপ অঙ্কুরিত মুগডাল
সামান্য হিং
২ বড়োচামচ ঘি
১ কাপ চাল
১ কাপ হলুদ মুগ ডাল
১ বড়োচামচ ভাজা পেঁয়াজ
পদ্ধতি
সব উপকরণ ভালো করে ধুয়ে নিন।
পেঁয়াজ, লঙ্কা, টোম্যাটো কুচিয়ে নিয়ে সরিয়ে রাখুন।
চাল আর ডাল খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, তার পর জলে ভিজিয়ে রাখুন খানিকক্ষণের জন্য।
এবার চাল, সাদা চাওলি, মুগ ডাল আর স্প্রাউটস একসঙ্গে সেদ্ধ করতে বসান।
অন্য পাত্রে ঘি গরম করে তাতে জিরে, কাঁচালঙ্কা, হিং, পেঁয়াজ, টোম্যাটো দিয়ে ভাজা ভাজা করে নিন।
তার মধ্যে সেদ্ধ করা চাল-ডালের মিশ্রণ দিন।
নুন-মিষ্টি চেখে দেখে নিন ঠিক আছে কিনা।
এবার আভেনপ্রুফ পাত্রে ঢেলে উপরে ফেটানো দই ছড়িয়ে ১২০ ডিগ্রিতে বেক করে নিন ১০ মিনিট।
নামিয়ে ভাজা পেঁয়াজ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন চাটনির সঙ্গে।
No comments: