বডি মাসাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই এই তেল বেছে নিন
সারা বছর হোক বা হোক, শীতকালে অন্তত বডি মাসাজের গুরুত্ব কম-বেশি সকলের কাছেই বাড়ে, তাই না? স্নানের আগে বা পরে অন্তত ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য তেল মালিশ আমরা কম-বেশি সবাই করে থাকি৷ কিন্তু যে প্রশ্নটা প্রায়ই মনের কোণে উঁকি দেয়, তা হচ্ছে, কোন তেল ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো? বিশেষ করে বাচ্চাদের ত্বকের জন্য? সেটা জানার জন্য আগে বুঝতে হবে আপনার ত্বকের প্রকৃতিটা ঠিক কেমন, বিশেষ কোনও অ্যালার্জি আছে কিনা ইত্যাদি৷ যাঁদের বাদামে অ্যালার্জি আছে, তাঁদের সাধারণত বাদামজাত তেলও সহ্য হয় না৷
যদি সঠিক তেল বেছে নিতে পারেন, তা হলে কিন্তু সত্যিই ত্বকের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন, ত্বক হয়ে উঠবে সুরক্ষিত এবং ঝলমলে৷ সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, কোনও তেল দ্রুত শুষে নেয় আমাদের ত্বক, কোনও কোনও তেল আবার দীর্ঘক্ষণ ত্বকের উপর পরত তৈরি করে রাখে৷ ঠিক কোন ধরনের মাসাজ করাচ্ছেন, তার উপরে নির্ভর করে সঠিক তেল বেছে নেওয়া উচিত৷ তবে তেল ভার্জিন এবং কোল্ড প্রেসড হলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন৷ কেনার আগে তাই ভালো করে লেবেলটা পড়ে দেখে নিন, অন্যতম উপাদান হিসেবে মিনারেল অয়েল নামক কোনও বস্তুর অস্তিত্ব থাকলে তা থেকে দূরে থাকাই ভালো৷
অলিভ অয়েল: বহু যুগ ধরে মাসাজ অয়েল হিসেবে রাজত্ব করে আসছে অলিভ বা জলপাইয়ের তেল৷ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের যে সব জায়গায় জলপাইয়ের চাষ হয়, সেখানে অলিভ অয়েলের প্রচলনই সবচেয়ে বেশি৷ অলিভ অয়েল কিন্তু বেশ ভারী এবং চট করে তা আমাদের ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে না৷ তাই দীর্ঘক্ষণ মাসাজের পরিকল্পনা থাকলে তবেই এই তেল বাছুন৷
নারকেল তেল: ভালো নারকেল তেল কিন্তু চ্যাটচেটেও হয় না আর তা থেকে বিচ্ছিরি গন্ধও বেরোয় না৷ ডিপ টিস্যু বা রিফ্লেক্সোলজি মাসাজে এই তেলের ব্যবহার সর্বাধিক৷ ত্বকে চটপট প্রবেশ করে, জামাকাপড়ে দাগও ফেলে না৷ এর স্যাচুরেটেড ফ্যাট ত্বক রাখে আর্দ্র, মসৃণ৷ তেলে উপস্থিত ভিটামিন সি মেটায় বলিরেখা৷
আমন্ড তেল: যাঁদের ত্বক থেকে থেকেই লাল হয়ে যায়, চুলকায়, শুকনো হয়ে পড়ে, তাঁদের ত্বকে তো বটেই, শিশুদের ত্বকের জন্যও আমন্ড তেল খুব ভালো৷ খুব তাড়াতাড়ি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং রোদে পোড়া ত্বককেও সুস্থ রাখে এর নিয়মিত ব্যবহার৷ মাসলের ব্যথা কমাতেও তা কার্যকর৷
তিলের তেল: আয়ুর্বেদের প্রাচীন গ্রন্থ ‘চরকসংহিতা’তেও তিল তেলের মালিশের গুণাগুণের কথা রয়েছে৷ বলিরেখা, রোদে পোড়া ত্বকের দাগ-ছোপ ইত্যাদি কমাতে পারে তিলের তেল৷ তবে তিলের তেল কিন্তু তেল ঠান্ডা, তাই আয়ুর্বেদে তা সামান্য গরম করে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়৷
No comments: