সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এই খাবার গুলো
করলা
করলা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কারণ এটি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে পারে। ইনসুলিনের নিঃসরণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে করলা। দুই বা তিনটি করলার বীজগুলি ফেলে দিয়ে রস বের করে নিন। করলার রসের সঙ্গে জল মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান।
দারচিনি
যাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য দারচিনি খুবই উপকারী। এটি অগ্নাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে উদ্দীপ্ত করে এবং রক্তের সুগার লেভেল কমায়। দারচিনির গুঁড়ো চা, জল বা অন্য পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা জেলে ফাইটোস্ট্যারলস নামক শক্তিশালী উপাদান থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ফাইটোস্ট্যারলসের অ্যান্টিহাইপার গ্লাইসেমিক প্রভাব আছে যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য উপকারী। হলুদ, তেজপাতা ও অ্যালোভেরা জেল জলের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন।
আম পাতা
৩-৪ টি আম পাতা জলে ফুটিয়ে নিন। প্রতিদিন সকালে এই মিশ্রণটি খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে। আম পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে রাখতে পারেন। দিনে দুবার আধা চামচ করে এই আম পাতার গুঁড়ো খেতে পারেন।
মেথি
ডায়াবেটিসের সবচেয়ে ভালো একটি প্রতিকার হচ্ছে মেথি। ২ টেবিল চামচ মেথি বীজ ১ গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালে মেথি বীজ-সহ জল পান করুন। মেথি বীজের জৈব উপাদান ইনসুলিনকে উদ্দীপিত করে। এছাড়াও এতে উচ্চ মাত্রার ফাইবার থাকে বলে স্টার্চকে গ্লুকোজে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে যা ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের সাহায্য করে।
শসা
রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়লে শসা খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। প্রতিদিনের ডায়েটে শসা রাখলে সুগার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। এটি ছাড়াও হজমের ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে শসা। ইউএসডিএ অনুসারে শসাতে ১০ ক্যালরি থাকে। এটি কেবল সালাদে নয়, স্যান্ডউইচগুলিতেও খাওয়া যেতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস রোগীদের কীভাবে তাদের ডায়েটে শসা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
No comments: