পেয়ারার এই উপকারিতার কথা আপনি আগে জানতেন না

 

পেয়ারার ভরা মৌসুম হিসাবে পরিচিত ঋতু হল বর্ষাকাল। কিন্তু মজার বিষয় হল বর্তমানে সারা বছরই পেয়ারা পাওয়া যায়। পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিতামিন-এ। আর এই ভিটামিনে ভরপুর এই ফলটি পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুবই কম আছে।

লবণ মরিচ আর সামান্য কাসুন্দি মাখিয়ে কাঁচা পেয়ারা খাওয়ার স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো। এটি যে শুধু সুস্বাদু তাই নয়, বরং পুষ্টিগুণেও অনন্য। পেয়ারা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ ভালো। প্রতিদিন অন্তত একটি পেয়ারা খেলে বেশকিছু স্বাস্থ্যোপকারিতা।

ওজন কমাতে

যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য পেয়ারা খুব কার্যকরী। কারণ একটি প্রমাণ আকারের পেয়ারায় মাত্র ৬৪ ক্যালোরি থাকে, আর তা হজম করতে খরচ হয় তার চেয়ে বেশি।

ত্বক এবং চোখের যত্নে

পেয়ারায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, তা ভালো রাখে ত্বক আর চোখের স্বাস্থ্য। সেই সঙ্গে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও খুব কার্যকর।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে

যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা বিকেলের দিকে ক্ষিধে পেলে পেয়ারা খাওয়ার কথা ভাবতে পারেন। পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, আছে প্রচুর ফাইবার। এই দুটি উপাদানের মিলিত ফল ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ব্লাড পেসার নিয়ন্ত্রনে

যাদের সোডিয়াম-পটাশিয়াম স্তরে কোনো সমস্যা আছে, তারাও পেয়ারা খান নিয়মিত। যাদের ব্লাড প্রেশার একটু বেড়েই থাকে, তারা অবশ্যই পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও কনস্টিপেশনের সমস্যা কমাতেও তা কার্যকর।

মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যরক্ষায়

আমাদের মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যরক্ষায় পেয়ারার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। নিয়মিত পেয়ারা চিবিয়ে খেলে দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য খুব ভালো থাকে। অনেকে বলে থাকেন, পেয়ারার পাতা চিবিয়ে খেলে দাঁতের ব্যথা কমে যায়।

স্ট্রেস কমাতে

পেয়ারার ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট স্ট্রেস কমাতে দারুণ কার্যকর। তাই অতি অবশ্যই তা নিয়ম করে খান