ক্রমবর্ধমান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে বহুল কার্যকর এই পানীয়
আধুনিক সময়ে, খারাপ রুটিন, অনুপযুক্ত ডায়েট এবং স্ট্রেসের কারণে অনেক রোগ ছড়িয়ে যায়। এর মধ্যে স্থূলত্ব, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, সুগার, হার্টের অসুখ রয়েছে। একই সাথে কোলেস্টেরলও বাড়তে শুরু করে। এটি স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে কোলেস্টেরল এক ধরণের ফ্যাট। এই ফ্যাটটি শরীরের সমস্ত কোষে পাওয়া যায়। এটি লিভার থেকে নিঃসৃত হয়। এটি দেহে হরমোন এবং ভিটামিন সহ অনেকগুলি প্রয়োজনীয় উপাদান গঠনে সহায়তা করে। এছাড়াও, এটি প্রোটিনের সমন্বয়ে রক্তে চর্বি দ্রবীভূত করতে দেয় না। সাধারণত, একজন সুস্থ ব্যক্তির দেহে কোলেস্টেরলের পরিমাণ ২০০ মিলিগ্রাম / ডিএল এর চেয়ে কম হওয়া উচিৎ। এর চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। যদি আপনি কোলেস্টেরল বাড়িয়েও সমস্যায় পড়ে থাকেন তবে প্রতিদিন এই পানীয়টি পান করুন। এটি কোলেস্টেরলের তাত্ক্ষণিক নিয়ন্ত্রণের দিকে পরিচালিত করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক-
জোকপ্রিপ ডটকম-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে মধু এবং দারচিনি খাওয়ার মাধ্যমে তাতৎক্ষণিকভাবে বাড়া কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যায় । এর জন্য আধা লিটার জলে দুই চামচ মধু, তিন চামচ দারচিনি মিশিয়ে ভাল করে মেশান। এখন আপনার শারীরিক সামর্থ্য অনুসারে দারচিনি ও মধুযুক্ত জল পান করুন। আপনি চাইলে একসাথে পানও করতে পারেন।
এটি বিশ্বাস করা হয় যে পরের দুই ঘন্টার মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা ১০ শতাংশ হ্রাস পাবে। এই কারণে বিশেষজ্ঞরা বাড়তে থাকা কোলেস্টেরল দ্বারা সমস্যায় পড়ে মধু জল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর পাশাপাশি গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে কোলেস্টেরল বাড়ার অভিযোগকে কাটিয়ে উঠতে প্রতিদিনের ডায়েটে মধু অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২ চা চামচ মধু গরম জলে মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতেও স্বস্তি দেয়।
বি.দ্র: গর্ভাবস্থা হোক বা অন্য যে কোনও সময়, নতুন কিছু ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই টোটকা সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এর নিশ্চয়তা স্বীকার করে না।
No comments: