লকডাউনে সন্তানের অস্থিরতা কাটাতে জেনে নিন কি করবেন
এক টানা ঘরে থেকে থেকে বাচ্চাদেরও মন ভার। হয় খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে, নয় তো বাইরে বেরোনোর জন্য ছটফট করছে। কী ভাবে সারাদিন সামলাবেন, সেটাই ভেবে হিমশিম খাচ্ছেন আপনি। যে যে খেলনাগুলো কিনে দিয়েছিলেন, সেগুলোতেও সে ভাবে মন দিতে পারছে না আপনার বাচ্চা। এই সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। বাচ্চাদের কোনও কাজে ব্যস্ত করে ঘরে রাখাটাই এখন সবচেয়ে জটিল ব্যাপার। বাইরে বেরোনো শরীরের জন্য কতখানি ক্ষতিকর, সেটা সরল ভাষায় বললেও ওরা বুঝবে না। কারণ করোনার অভিঘাত সম্পর্কে ওদের ধারণাটাই অস্পষ্ট। সেই সঙ্গে ওদের মানসিক স্বাস্থ্যও যাতে এই অবস্থায় ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, সেটাও আমাদের দেখতে হবে।
একাগ্রতার খেলা শেখান
ধাঁধা জাতীয় কোনও খেলার সঙ্গে ওর পরিচয় করে দিন। কিংবা এমন কোনও খেলা শেখান, যাতে ওর একাগ্রতা বেশি পরিমাণে ব্যবহার করতে হয়। একটা সময় বেঁধে দিন। সেই সময়ের মধ্যে খেলাটি বা ছকটি ঠিকঠাক করতে পারলে, ছোটখাটো কোনও পছন্দের জিনিস পুরস্কার দিতে পারেন। এতে খেলাটা খেলার তাগিদ থাকবে ওর মধ্যে।
আঁকায় ব্যস্ত রাখুন
সব বাচ্চাই যে খুব ভাল আঁকতে পারবে এরকম নয়, তবে আঁকতে পছন্দ করে সবাই। বিশেষ করে জলরঙের প্রতি বাচ্চাদের অতিরিক্ত আকর্ষণ থাকে। ড্রয়িং বই থেকে জলরং দিয়ে কোনও অংশ রং করতে দিন। বাচ্চা অনেকক্ষণ মন দিয়ে এটা করবে।
অডিওবুক শোনান
গল্পের বই পড়ে শোনালেও অনেক সময় ঠিকমতো না পড়লে তার মধ্যে মজা পায় না বাচ্চারা। এখন অডিওবুক এসে গিয়েছে। সুন্দর গল্প বলার ভঙ্গি ও আবহ বাচ্চাকে সহজেই আকৃষ্ট করে। তাই বাচ্চার মন ভোলাতে এই ভাবে বেশ খানিকটা সময় ওকে ব্যস্ত করে রাখতে পারেন।
যন্ত্র শেখান
অনেকেই বাচ্চাকে নানা রকম বাজানোর যন্ত্র শেখাতে চান। আপনার বাচ্চা যদি সুরের প্রতি আকৃষ্ট হয়, তাহলে ছোটদের উপযোগী গিটার বা কী-বোর্ড শেখাতে পারেন। নতুন যন্ত্র ভাল লাগলে বাচ্চার বাইরে যাওয়ার ইচ্ছেও কমবে।
বিকেলে একটু খেলুন
বিকেলে ছাদে বা বাড়ির বাগানে নিয়ে যান। ছোটখাটো কোনও খেলা যেগুলো ওখানে গিয়ে খেলা সম্ভব, সেগুলো ওর সঙ্গে খেলতে পারেন। এতে একটু দৌড়তেও পারবে আবার খানিক শরীরচর্চাও হবে। একদমই বেরোতে না পারার আফশোসটাও ঘুচবে।
No comments: