আয়ুর্বেদিক স্পট ট্রিটমেন্ট দিয়ে ব্রণ কমান রাতারাতি
ধুলো, ঘাম, দূষণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুখে হামলা শুরু হয় ব্রণর। এ বছর করোনার প্রাদুর্ভাবের ফলে বাইরে বেরনো বন্ধ হওয়ার কারণে দূষণ ফ্যাক্টরটা এখনও কম বলে অনেকেরই ব্রণ হয়তো নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু গরম আর একটু বাড়লেই ব্রণর উৎপাত শুরু হয়ে যাওয়াটাও স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! ব্রণ সারাতে অনেকেই ভরসা রাখেন ঘরোয়া পদ্ধতির উপর। কিন্তু জানেন কি, প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদে ব্রণ সারানোর একাধিক উপায় বলা আছে। আর এ সব আয়ুর্বেদিক উপাদান আপনি স্পট ট্রিটমেন্টের মতো করে ব্যবহার করতে পারবেন! অর্থাৎ পুরো মুখে প্যাক লাগানোর দরকার নেই, শুধু ব্রণর উপরে লাগালেই হবে। ব্রণ তো শুকোবেই, দাগছোপও থাকবে না!
আপনাদের জন্য রইল ব্রণ শুকোনোর জন্য কয়েকটি আয়ুর্বেদিক রূপটানের হদিশ।
তুলসি আর হলুদ
অনেকেরই বাড়িতে তুলসি গাছ রয়েছে। আর হলুদ জোগাড় করাও সহজ! এই দুটি উপাদান দিয়েই বানিয়ে নিন ব্রণর ওষুধ! কাঁচা হলুদ দু'চামচ পরিমাণ বেটে নিন। একইভাবে কুড়ি-পঁচিশটা তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে বাটুন। তুলসি পাতা বাটা আর কাঁচা হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন। প্রতিদিন বারতিনেক লাগাতে হবে। সারাদিনের জন্য একবারে বানিয়ে কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।
নিমপাতা আর গোলাপজল
নিমপাতা খুবই ভালো অ্যান্টিসেপটিক আর গোলাপজল ত্বক স্নিগ্ধ আর সতেজ রাখে। পাতাসমেত গোটা পাঁচেক নিমের ডাল ভেঙে নিন। পাতাগুলো ধুয়ে জলে মিনিট দুয়েক ফোটান। তারপর জল থেকে পাতা তুলে মিক্সিতে বা শিলে বেটে নিন। এবার পাতা বাটায় দু' চাচামচ পরিমাণ গোলাপজল মেশান। এই মিশ্রণটা ব্রণর উপরে লাগিয়ে শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দ্রুত শুকোবে, ব্যথাও কমবে।
মধু
নানা আয়ুর্বেদিক ওষুধে মধুর ব্যবহার প্রচলিত। নানারকম ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করতে পারে মধু। এক চাচামচ খাঁটি মধুতে অল্প তুলো ডুবিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রেখে দিন। আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। দিনে বারকয়েক লাগালেই ব্রণর দাপট কমতে বাধ্য!
চন্দন
আয়ুর্বেদে প্রদাহ, ব্যথা, কাটাছেঁড়া কমাতে চন্দন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। বাড়িতে চন্দনপাটা থাকলে তাতে চন্দনকাঠ ঘষে চন্দন বের করে নিন। না থাকলে চন্দনগুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেটা যেন খাঁটি হয়। গোলাপজলে বা সাধারণ জলে চন্দনগুঁড়ো গুলে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে তা ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে শীতলতার অনুভূতি হবে। এরপর শুকোতে দিন। শুকিয়ে টান ধরলে জলে ধুয়ে ফেলুন।
লেবু আর জল
লেবুর ভিটামিন সি ব্রণ কমাতে দারুণ ভালো কাজ করে। দুটো পাতিলেবু চিপে রস বের করে নিন। এই রসে দু'চামচ জল মেশান। মিশ্রণে তুলো ভিজিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে দিন। খুব দ্রুত ব্রণ শুকিয়ে যাবে। তবে সেনসিটিভ ত্বক হলে লেবুর রস এড়িয়ে চলাই ভালো, কারণ লেবুর রস থেকে সেনসিটিভ ত্বকে জ্বালা করতে পারে। একান্তই মাখলে মুখ ধুয়ে ময়শ্চারাইজার আর সানস্ক্রিন লাগিয়ে নেবেন।
No comments: