মানুষ এখানে এসে তাদের ভালোবাসার জন্য মঙ্গলকামনা করে

 

ভালোবাসা এমন একটি রোগ যা চিরকালের জন্য হয়। এর জন্য কারো অনুমতি লাগে না।  লায়লা-মজনু, সনি-মহিওয়াল এবং রোমিও-জুলিয়েট, এই নামগুলো যারা তাদের প্রেমের জন্য মৃত্যু বরণ করেছিল।  ইতিহাসের পাতায় অমর এই প্রেমিকদের গল্প এখনও প্রেমময় দম্পতিদের ভালোবাসার জন্য মরার বার্তা দেয়।

 লায়লা-মজনুর সমাধি:

 লায়লা-মজনুর প্রেমের কাহিনী তাদের চির অমর করে রেখেছে। যদিও প্রেমের শত্রুরা তাদের এক হতে দেয়নি কিন্তু মৃত্যুর পর কেউ তাদের একে অপর থেকে আলাদা করতে পারেনি।  প্রতি বছর সব ধর্মের মানুষ লায়লা-মজনুর এই সমাধিতে আসেন তাদের উপস্থিতি অনুভব করতে।

এমনকি এখানে পাকিস্তান থেকে প্রেমীকরাও আসেন। শুধু তাই নয় এই সমাধিতে আসা মানুষদের মধ্যে হিন্দু, মুসলমান ছাড়াও শিখ এবং খ্রিস্টান ধর্মের লোকজনও রয়েছে।  বিশ্বাস অনুযায়ী এই পবিত্র সমাধি স্থানটি প্রেমীদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়।

 

এই সমাধি অবস্থান:

লায়লা এবং মজনু তাদের জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো কাটিয়েছিলেন পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের গঙ্গানগর জেলার ভূমিতে।  ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত বিএসএফের এই পোস্টের নাম দেওয়া হয়েছে 'মজনু পোস্ট'।

 দুজনের প্রেমের গল্প:

 লায়লা-মজনুর প্রেমের কাহিনী সেই সময়ের কথা যখন কাইস অথাৎ বিলিয়নিয়ার শাহ আমারীর ছেলে মজনু সিন্ধুতে লায়লা নামের একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন। লায়লা-মজনুকে পরস্পর থেকে আলাদা করার জন্য লায়লাকে জোড় করা হয়েছিল অন্য কারো সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য। এরপর লায়লা তার স্বামীর সঙ্গে ইরাকে চলে যান যেখানে অসুস্থ হওয়ার কিছুদিন পরই তিনি মারা যান এবং মজনুর লাশও লায়লার কবরের কাছে পাওয়া যায়।