এই উপায় গুলো ব্যবহার করে দেখুন অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে
খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারার পরিবর্তনের ফলে অ্যাসিডিটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।অ্যাসিডিটির কারণে পেটে ব্যথা, গ্যাস তৈরি হওয়া, টক টক ভাববের মতো অনেক সমস্যা হয়। এমনকি সামান্য কিছু খাওয়ার পরেও অস্থিরতা থাকে এবং অস্বস্তির অনুভূতি থাকে।
ডাক্তারদের কথায়, অ্যাসিডিটিতে ওষুধ খেলে শরীরে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে অ্যাসিডিটির থেকে স্বস্তি পেতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার পাশাপাশি, ডায়েটেরও যত্ন নেওয়া উচিৎ। যেমন-
হালকা খাবার খাওয়া : রাতে হালকা খাবার খান, কারণ রাতে খাবার হজম করতে বেশি সময় লাগে। রাতে অতিরিক্ত খাবার খেলে পেটে তখন অ্যাসিড হয়। তাই অল্প পরিমাণে খান।
বেশি জল কখন পান করবেন না: প্রতিদিন আমাদের আট থেকে দশ গ্লাস জল পান করা উচিৎ। যখন আমাদের অ্যাসিডিটি হয়, আমরা ভেবে থাকি যে, বেশি জল পান করলে এতে স্বস্তি আসবে, কিন্তু এটি সত্য নয়। বিশেষ করে খাবারের মাঝে এবং পরে খুব বেশি জল পান করবেন না।
রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খান: রাতের খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমানোও অ্যাসিডিটির কারণ। তাই ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে একজনকে খাবার খাওয়া উচিৎ এবং খাবার খাওয়ার পর এক ঘণ্টা শারীরিক পরিশ্রম করা উচিৎ নয়। রাতে ঘুমানোর সময় বালিশ খুব বেশি উঁচু করা উচিৎ নয়, এটি হজম সিস্টেমে খারাপ প্রভাব ফেলে।
ওজন কমানো: যাদের ওজন বেশি, তাদেরও অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে। যদি আপনার ওজনও বেশি হয়, তাহলে আপনার ওজন কমান, কারণ স্থূলতার কারণে অন্ত্রের উপর চাপ পড়ে, যার কারণে বদহজমের সমস্যা হয়।
এ ছাড়া, টাইট ফিটিং ড্রেসগুলিও অনেক সময় অ্যাসিডিটির সমস্যা সৃষ্টি করে, তাই ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
এই জিনিসগুলি এড়িয়ে চলুন: অ্যালকোহল, ঠান্ডা পানীয়, ক্যাফিনযুক্ত পানীয় যেমন চা, কফি, সাইট্রাস ফল এবং জুস, টমেটো এবং টমেটো সস, চকলেট, ভাজা মশলাযুক্ত, চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। ময়দা থেকে তৈরি খাবার যেমন পাস্তা, নুডুলস, সাদা রুটি, বিস্কুট, নান খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
পরিবর্তে, ফাইবার সমৃদ্ধ যেমন গমের আটার রুটি, বাদামী চাল, গমের পাস্তা, আস্ত ডাল, ফল এবং সবজি খান।
ধূমপান এড়িয়ে চলুন: ধূমপান অ্যাসিডিটিও বাড়ায়, তাই এটি এড়িয়ে চলুন।
রাতে দুধ পান করবেন না: যদি আপনার বেশি অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে তাহলে রাতে দুধ পান করা থেকে বিরত থাকুন। অনেকেরই ভুল ধারণা আছে যে দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাস্তবে তা হয় না। রাতে দুধ পান করলে অ্যাসিড বেশি হয়।
তবে সমস্যা গুরুতর হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
No comments: