ক্রমবর্ধমান কোলেস্টেরল কমাতে ডায়েটে রাখুন কাঁঠালের বীজ

নিউজ ডেস্ক: ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে কাঁঠালের চাষ হয়। এটি একটি মৌসুমি ফল এবং কাঁচা অবস্থায় এর সবজিও তৈরি হয়। সেই সঙ্গে পাকলে ফল হিসেবে খাওয়া হয়। কাঁঠালকে ইংরেজিতে Jackfruit বলে। ওজনের দিক থেকে এটি অনেক বড় ফল। এই ফলটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যানথেলমিন্থিক বৈশিষ্ট্য যা অনেক রোগে সহায়ক। 

বিশেষ করে কাঁঠাল ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারি। এটি হিমোগ্লোবিনের গ্লাইকেশনকে বাধা দিতে সক্ষম হতে পারে কাঁঠালে উপস্থিত লাইকোপিন, অ্যাসিড-ক্যারোটিন এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিডের উপস্থিতির কারণে। 

একটি গবেষণায় দেখা গেছে কাঁঠাল ডায়াবেটিস প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। সেখানেই কাঁঠালের বীজও স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। এর খাওয়া অনেক রোগে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়। বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কাঁঠালের বীজ সহায়ক। আসুন জেনে নেই কাঁঠালের বীজের উপকারিতা-

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম: একটি গবেষণা অনুযায়ী কাঁঠালের বীজে স্যাপোনিন নামক একটি উপাদান পাওয়া যায়, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এ জন্য ক্রমবর্ধমান কোলেস্টেরল নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের খাদ্যতালিকায় কাঁঠালের বীজ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। তবে সিদ্ধ করে খাওয়া ভালো বলে মনে করা হয়। একই সময়ে আপনি সবজি হিসাবে কাঁঠালের বীজও খেতে পারেন। এছাড়াও ভাজা কাঁঠালের বীজও খাওয়া যেতে পারে।

পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে: কাঁঠালের বীজে ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায়, যা পেটের জন্য উপকারী। এটির খাওয়াতে পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী হয়। কাঁঠালের বীজ পেট সংক্রান্ত রোগ দূর করতেও সহায়ক। এছাড়া কাঁঠালের বীজেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। আয়রনের ঘাটতি মেটাতে কাঁঠালের বীজ ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শও দেন চিকিৎসকরা।