কলাপাতায় মোড়ানো ছানার পাতুরি, নিরামিষ এই রান্না একবার খেলে বারবার চাইবেন
পাতুড়ি মানেই কেবল ভেটকি বা চিংড়িতে আটকে থাকা নয় কিন্তু। বরং ছানা দিয়েও বাঙালির প্রিয় পাতুরি বানানো যায়। নিরামিষ পাত এমন পাতুরির জুড়ি মেলা ভার।
ছানার এমনিতেই পুষ্টিগুণ অনেক। হাড়ের ক্ষয় রোধে ও শরীরে ক্যালশিয়াম পৌঁছতে ছানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সহজলভ্য উপাদান ও কম সময়সাপেক্ষ এই পদ দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ছানার পাতুরি। অনেক সময় দেখা যায়, বাড়ির খুদে সদস্যটি মোটে ছানা খেতে চায় না। কিন্তু এই পদের স্বাদের হাত ধরে তার পেটেও পড়বে প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
অতিথি আপ্যায়ণ হোক বা বাড়ির সদস্যদের খানিক মুখবদল, ছানার এই পাতুরি দিয়েই সাজাতে পারেন ভূরিভোজের পাত। রইল রেসিপির সন্ধান।
উপকরণ
ছানা: ১০০ গ্রাম
নুন: ৫-৬ গ্রাম
কাঁচালঙ্কা: স্বাদ অনুযায়ী
ময়দা: দেড় চামচ
চিনি: স্বাদ অনুযায়ী
পোস্ত: দেড় চামচ
সাদা সর্ষে: দেড় চামচ
কালো সর্ষে: দেড় চামচ
খানিকটা সরষের তেল
কলাপাতা: দুটো
পদ্ধতি :
ছানা থেকে জল ঝরিয়ে সেগুলোকে হাতের তালুর সাহায্যে চ্যাপ্টা করে গড়ে নিন। এ বার সাদা সর্ষে, কালো সর্ষে, পোস্ত, কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে বেটে নিন। এতেই পাতুরির গায়ের মশলার প্রাথমিক ভাগটুকু তৈরি হয়ে গেল। এ বার এর মধ্যে চিনি, নুন ও তেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। ছানার টুকরোর গায়ে এই মিশ্রণ ভাল করে মাখিয়ে খানিকক্ষণ রাখুন।
এ বার কলাপাতাগুলোকে মাঝারি আকারে কেটে ভাল করে ধুয়ে এর মাঝে পুর মাখানো ছানার টুকরোগুলো রাখুন। ভাল করে চারপাশ মুড়ে সুতো দিয়ে বেঁধে দিন। এই অবস্থায় স্টিমিং করার পাত্রে বসিয়ে পাতুরিকে স্টিম করতে পারেন। বাড়িতে ভাপানোর তেমন আয়োজন না থাকলে একটি ধার উঁচু পাত্রে জল ভরে আঁচ বাড়িয়ে তাকে ফুটতে দিন। এ বার সেই ফুটন্ত জলে কলাপাতায় মোড়ানো পাতুরি ভরা টিফিন কৌটো ভাসিয়ে দিন। জল ফোটার সঙ্গে ভিতরের পাতুরিও সুন্দর ভাপিয়ে নেওয়া যাবে এই সহজ পদ্ধতিতে। মিনিট পাঁচেক ভাপানোর পর টিফিন কৌটো খুলে দেখুন পুর ভাল করে মজেছে কি না। প্রয়োজনে আরো খানিক ক্ষণ ভাপিয়ে নামিয়ে নিন। পরিবেশের আগে চেরা কাঁচালঙ্কা ও সর্ষের তেল ছড়িয়ে পরিবেশন করুন
No comments: