ওটস-উপমা বানিয়ে ওটসকে করে তুলুন আরও সুস্বাদু।
আমাদের শারীরিক ভাবে সুস্থ অনেকটাই থাকা যায়, যদি দিনের প্রথম খাবার অর্থাৎ ব্রেকফাস্টটা ভাল হয়।কিন্তু ব্রেকফাস্টের মেনু কী হবে! সকাল সকাল তেল-ঝলা লুচি বা পরোটাও খুব স্বাস্থ্যকর নয়। আবার ওটস খেতে গিয়ে অনেকেই নাক সিঁটকোয়। তবে উপায় বেরতে পারে, যদি দেখেন এই ওটসকেই আরও স্বাদু করে বানানো যায়। এমনই এক পদ ওটস উপমা। রইল স্বাস্থ্যকর অথচ সুস্বাদু এই পদের রেসিপি।
উপকরণ :
ওটস: হাফ কাপ
দু’-আড়াই গ্লাস জল
কড়াইশুঁটি: দুই টেবিল চামচ
গাজরের কুচি: এক কাপ
ঘি: এক টেবিল চামচ
সর্ষে দানা: এক চা চামচ
অড়হড় ডাল: এক টেবিল চামচ
কারি পাতা
কাঁচালঙ্কা
হিং
কাজুবাদাম: এক টেবিল চামচ
পেঁয়াজ: একটা
সুজি: আধ কাপ
টক দই: দুই টেবিল চামচ
লেবুর রস
চিনি
কুড়ানো নারকেল
প্রণালী:
আধ কাপ ওট, কোনও তেল বা ঘি ছাড়াই কড়াইতে সেঁকে নিন। সেঁকা হয়ে গেলে একটি প্লেটে ঢালুন। (রোজ রোজ না সেঁকতে চাইলে বেশি করে একবারে সেঁকে একটি বায়ুনিরুদ্ধ কৌটো রেখে দিন।) এবারে আড়াই গ্লাস জল গরম করুন। এবার ফোটানো জলে কড়াইশুঁটি ও গাজর কুচি ঢালুন। যতক্ষণ না কড়াইশুঁটি ও গাজর সেদ্ধ হচ্ছে জল ফুটতে দিন।
এ বার একটি কড়াইতে এক টেবিল চামচ ঘি দিন। ঘি গরম হলে এক চা চামচ সর্ষে দানা ও এক টেবিল চামচ অড়হড় ডাল দিন। হালকা ভাজা হলে তার মধ্যে কয়েকটা কারি পাতা, একটা কাঁচা লঙ্কা কুচি, হিং-এর গুঁড়ো ও কাজু বাদাম দিন। এর মধ্যে একটা পেঁয়াজের কুচি দিন। ভাল করে নাড়তে থাকুন। এতে আধ কাপ সুজি দিন। সেঁকতে থাকুন।
এই মিশ্রণে সেঁকে রাখা ওটস ঢালুন। এর পর আগে থেকে কড়াই শুঁটি ও গাজর সমেত সেদ্ধ জল ঢালুন কড়াইয়ে। ভালো করে মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না জল টানছে। রান্না হওয়ার সময়েই দুই টেবিল চামচ টক দই, এক চিমটে চিনি। স্বাদ বাড়াতে ইচ্ছে করলে নারকেল কুচি ও ধনে পাতাও দিতে পারেন। পুরো মিশ্রণটি জল না টানা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। জল টেনে নিলে গরম গরম পরিবেশন করুন।
No comments: