নিয়মিত কিশমিশ ভেজানো জল খাওয়ার সৌন্দর্য উপকারিতা
শুকনো ফল সবসময় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিশমিশ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, সবাই এর স্বাস্থ্য উপকারিতা জানেন। কিন্তু জানেন কি প্রতিদিন কিশমিশ ভেজানো জল পান করলে কতটা উপকার হবে? যাইহোক, আসুন আমরা আপনাকে বলি যে এর স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সৌন্দর্যের অনেক উপকারিতাও রয়েছে। কিশমিশের জলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। নিয়মিত কিশমিশের জল পান শরীর থেকে টক্সিন সহজেই বের হয়ে যায় এবং এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।
ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার অনুযায়ী, কিশমিশে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের ত্বক ও চুলের পুষ্টিতে সহায়ক। কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রাখলে বা জলে সিদ্ধ করলে কিশমিশের সব পুষ্টি উপাদান জলে শোষিত হয়ে যায়। তাই কিশমিশ খাওয়ার পাশাপাশি এর জল পান করাও আমাদের সৌন্দর্য বাড়াতে খুবই উপকারী। তাহলে চলুন জেনে নিই কিশমিশ জল পানের সৌন্দর্যের উপকারিতা সম্পর্কে-
১. চুলের দৈর্ঘ্য বাড়াতে সহায়ক
চুলের দৈর্ঘ্য না বাড়ার চিন্তা করবেন না, কারণ কিশমিশ খেলে আপনার চুল দ্রুত বাড়ে।এতে প্রচুর আয়রনের পাশাপাশি খনিজ উপাদান রয়েছে যা আপনার চুলকে পুষ্টি জোগায়।
২. চুল পড়া রোধ করে
চুল পড়ার সমস্যায় অস্থির থাকলে প্রতিদিন কিশমিশ জল খাওয়া শুরু করুন। এটি চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও তাদের উন্নয়ন দ্রুত হয়। কারণ কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চুল পড়া রোধে খুবই উপকারী।
৩. ত্বক ময়শ্চারাইজ করুন
কিশমিশের জলে রয়েছে ভিটামিন সি। যা ত্বকের কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে আপনার ত্বক থাকে উজ্জ্বল। শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং সারাদিন আপনার ত্বককে তারুণ্য দেখায়।
৪. বার্ধক্য বিরোধী হিসাবে কাজ করে
যারা অনুভব করেন যে তাদের ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ সময়ের আগেই দেখা দিতে শুরু করেছে, তাদের এখনই কিশমিশের জল পান করা শুরু করা উচিৎ। কারণ কিশমিশের জল অ্যান্টি-এজিং হিসেবে কাজ করে। এটি ব্যবহারে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং আপনাকে সবসময় তরুণ দেখাবে।
৫. দাগ পরিত্রাণ পেতে
কিশমিশের জলে উপস্থিত ভিটামিন-সি আপনার জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এটি আপনার ত্বককে মসৃণ এবং কোমল করতে সাহায্য করে। এ কারণে মুখে দাগ থাকলে সব কমে যায়।
৬. হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যার চিকিৎসা করুন
হাইপারপিগমেন্টেশনের প্রধান কারণ হল সূর্য থেকে আসা সরাসরি রশ্মি, যার কারণে মুখে কালো দাগ দেখা দিতে শুরু করে। কিশমিশের জলে উপস্থিত ভিটামিন-সি হাইপারপিগমেন্টেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
No comments: