বর্ষায় ফ্লু থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন ঘরোয়া প্রতিকার গুলি

বর্ষাকালে ফ্লু সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই মরশুমে খাওয়া-দাওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া খুব জরুরি। যে কোনও ধরনের সংক্রমণ বা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকাও জরুরী।যেই খাবার গুলি ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করে আপনি আপনার অনাক্রম্যতা বাড়িয়ে তুলতে পারেন তা আজ আপনাদের জানানো হবে-

হলুদ - হলুদে অ্যান্টি অ্যাক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলি স্বাস্থ্যকর প্রতিরোধ ক্ষমতা রাখতে কার্যকর। এক কাপ জলে এক চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং এক চা চামচ শুকনো আদা গুঁড়া গরম করুন। এই জল ফুটানোর পরে যখন অর্ধেক থেকে যায় তখন এটি ঠান্ডা করার পরে পান করুন।

তুলসী- তুলসীতে অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে ভাইরাসের সাথে লড়াই করার শক্তি দেয়। এক চামচ লবঙ্গ এবং দশ থেকে পনের টাটকা তুলসী পাতা এক লিটার জলে রেখে তাতে অর্ধেক শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করুন। এর পরে এটি ফিল্টার করুন এবং এটি ঠান্ডা করুন এবং প্রতি ঘন্টা এটি পান করুন। আপনি শীঘ্রই ভাইরাল থেকে বিশ্রাম পাবেন।

ধনিয়া- ধনিয়া স্বাস্থ্যসমৃদ্ধ, তাই এটি ভাইরাল জ্বরের মতো অনেক রোগের অবসান ঘটায়। ধনিয়া চা ভাইরাল জ্বর দূর করতে খুব কার্যকর ওষুধ হিসাবে কাজ করে। বর্ষার মরশুমে আপনার প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যাবেলা চা পান করা উচিৎ।

লেবু ঘাস- আপনি লেবু ঘাসের ঔষধি গুণের কথা খুব কমই শুনেছেন। এই গাছের তেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারী হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি ভাইরাল জ্বর (ঋতু জ্বর) এবং কাশি, সর্দিতেও ব্যবহৃত হয়। এটি পেট, অন্ত্র এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকে তাৎক্ষণিক ত্রাণ সরবরাহ করে।

আদা- আদা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কোনও অলৌকিক ওষুধের চেয়ে কম নয়। এতে উপস্থিত অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানগুলি শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা জন্য দুর্দান্ত। শাকসবজি ছাড়াও, আপনি এটি রস, স্যুপ এবং চাটনিতে ব্যবহার করতে পারেন।