কথায় কথায় রেগে যান , মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন না তো ??
কোনও ব্যক্তি তার অতিরিক্ত রাগের বশে অনেক সময় ভুল কাজ করে ফেলেন। তাতে সেই ব্যক্তির সামাজিক সম্পর্কও খুন্ন হতে পারে।
তবে রাগ হল মানুষের স্বাভাবিক অভিব্যক্তি। কিন্তু অতিরিক্ত রেগে জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ার বিষয়টি মোটেও স্বাভাবিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, অতিরিক্ত রেগে যাওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। দেখা গেছে মাদকাসক্তি কিংবা মানসিক রোগের কারণেই বেশিরভাগ মানুষ অতিরিক্ত রেগে যান।
আপনিও যদি কথায় কথায় রেগে যান তাহলে অবশ্যই আগে এটা জানতে হবে কী কারণে রেগে যাচ্ছেন। যদি মানসিক রোগের কারণে এমনটি হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে আপনাকে। না হলে বড় কোনও সমস্যায় পরতে পারেন। মানসিক অবসাদ হলো রাগের প্রথম কারণ। এই অসুখের কারণে টানা হতাশা কিংবা দুঃখও আসতে পারে। এমন অবস্থায় খুব বেশি দিন থাকলে কথায় কথায় রাগ এবং অভিমান বারে বারে হতে পারে।
অতিরিক্ত রেগে যাওয়ার লক্ষণ হিসেবে আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন বাইপোলার ডিজঅর্ডারের। এই অসুখ হলে খানিক পরপরই মনের ভাবে পরিবর্তন আসে। অতিরিক্ত আনন্দের মধ্যেও থাকে রাগের অনুভূতি।
অন্যদিকে মাদকাসক্ত ব্যক্তিরাও অনেক সময় অতিরিক্ত রাগী প্রকৃতির হয়ে থাকেন। এর কারণ হলো অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য শরীরের প্রবেশ করলে হিংস্র ভাব তৈরি করে। যা চিন্তাশক্তির উপরে মাদকের প্রভাবই এমন করে বলে মত মনোরোগ চিকিৎসকদের।
আপনি কীভাবে বুঝবেন আপনার রাগ মানসিক রোগ-এর কারনে বাড়ছে কিনা –
১. হঠাৎ করেই চেঁচামেচি করা।
২. নেতিবাচক ও খারাপ চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাওয়া।
৩. কথায় কথায় বিরক্ত হওয়া।
৪. সাধারণ কোনো ঘটনাতেও আকস্মিক চুপ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি মানসিক রোগের লক্ষণ।
৫. উচ্চ রক্তচাপ, বুক ধরফরের মতো শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়া।
জেনে নিন কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন -
কোনও কথা বলার আগে ভাবুন। সমস্যায় বিচলিত না হয়ে তার সমাধান খুঁজুন। অতিরিক্ত রাগ হলে শ্বাসের যোগব্যায়াম করুন। পরিবারের কারও উপর রাগ-ক্ষোভ হলে তার সামনে না গিয়ে একাকি সময় কাটান। ব্যস্ততার ফাঁকেও নিজের জন্যে অবসর সময় কাটান। পজেটিভ চিন্তা ভাবনা করুন। রাগ করার আগে পরবর্তীতে কী হবে, সেটি নিয়ে ভাবুন। নিয়মিত মেডিটেশিন করতে পারেন, এতে মনে প্রশান্তি আসে।
No comments: