এখন ভাত খেয়েও ডায়াবিটিসের মাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

 

সম্প্রতি অনেকেই আছেন যারা ডায়াবিটিসের মাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাতের জন্য বরাদ্দ করেছেন অল্প একটু জায়গা।  কারন শরীরের কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ভাতের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন অনেকেই। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, যেহেতু এশিয়ার বাসিন্দারা হাজার হাজার বছর ধরে ভাত খেতে অভ্যস্ত, তাই তা থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে থাকাটাও বোকামি। তাহলে কি করণীয়? 

পুষ্টিবিদ ইন্দ্রানী সেনগুপ্তের মতে, ভাত বাদ দেওয়ার যে চল আজকাল শুরু করেছে, তার বদলে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় কালো চাল খেলে হার্টের রোগ আর ক্যানসার ঠেকিয়ে রাখার পথে অনেকটা এগিয়ে থাকা সম্ভব। কারন কালো চালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। তাই ইদানীং ডায়াবিটিস রোগীদেরও নিশ্চিন্তে এই চাল নিয়ন্ত্রিত মাপে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

অন্য এক পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, কালো চালে ক্যালোরির পরিমাণ যেমন কম থাকে তেমনই মেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। এবং ফ্ল্যাভনয়েড ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের কারণে নানা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও মেলে এই কালো চাল থেকে। আর তাছাড়াও এর মধ্যে ফাইবার যতটা আছে, সাদা বা লাল চালের তুলনায় তা অনেকটাই বেশি। কালো চাল অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমায়। লিভার ও হার্টকেও সুস্থ রাখতে পারে। এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন যে কোনও ফ্রি রাডিক্যালের মারণ বৃদ্ধি রুখে শরীরকে সুস্থ রাখে। গ্লুটেনমুক্ত হওয়ায় বাড়তি মেদ জমার ভয়ও একেবারেই থাকে না এতে।

কিভাবে রান্না করবেন এই কালো চালের ভাত – 

কালো চালের ভাত রান্না হতে আধ ঘণ্টা মতো সময় লাগে, তাই আগের রাত থেকে চাল ভিজিয়ে রাখুন । তা হলে সময় অনেকটাই কম লাগবে। এই কালো চাল দিয়ে পায়েস বানিয়েও খেলেও একই পুষ্টিগুণ পাবেন আপনি। কালো চালে বানানো পায়েসের রং বেগুনি হয়। এই চাল রান্নার সময়, চালের পরিমাণের দ্বিগুণ জল দিন। ফ্যান ঝরিয়ে ঝুরো ভাত খেতে চাইলে জল দিতে হবে আরও বেশি করে।