Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

কিভাবে নেবেন টিনএজারদের ত্বকের যত্ন

 



  মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালে  বড় একটি শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এ সময় মানসিক পরিবর্তনও হয়। আর এই বয়সটা উচ্ছলতার। তাকে  কোন পোশাকটা  মানাবে, কেমন হেয়ারস্টাইলে ভালো দেখাবে, সেসব নিয়েও কৌতূহলের শেষ থাকে না। এ বয়সে ত্বকে নানা রকম সমস্যা ওদেখা দেয়। যেমন—ব্রণ ওঠা, ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যাওয়া। হরমোনের পরিবর্তনের জন্য ত্বকের গ্রন্থিগুলো বেশি তেল নিঃসরণ করে। ত্বকের ছিদ্রে তেল–ময়লা ঢুকে ব্ল্যাকহেডসের উৎপাত বাড়ে। তাই এই সময় ত্বকের কোন ক্ষতি সারাজীবনের জন্য স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। 

তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারলে সারা বছর ত্বকের নানা সমস্যা সহজেই এড়িয়ে চলা সম্ভব। 


১. পাঁচ মিনিট ত্বকে  ময়েশ্চারাইজ  মালিশ করুন। 

তবে যেকোনো ময়েশ্চারাইজার দিয়ে নয়, ভালো কোনো নাইট ক্রিম দিয়ে মুখের ত্বকে মালিশ করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।


২. সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার করা খুবই জরুরি। কারণ, জমে থাকা তেল, ঘাম, ময়লা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। সব সময় ভালো মানের ক্লিনজার ব্যবহার করবেন। 


৩. ঘুমাতে যাওয়ার আগে মেকআপ ভালোভাবে তুলে তারপর ঘুমাতে যেতে হবে। 


৪. হেলদি এবং ট্যান ফ্রি স্কিন পেতে প্রতিদিন সানব্লক বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। এটা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। 


৫. সারা দিনে পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে। জল পান করা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। 


৬. সপ্তাহে অন্তত একদিন ফেসমাস্ক ব্যবহারে আপনার স্কিনে এনে দেবে অফুরন্ত জেল্লা। স্কিন দেখাবে টান টান আর ঝলমলে। স্কিনের ধরন অনুযায়ী ফেসমাস্ক ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে ঘরেও ফেস ম্যাক্স বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ, বেসন, লেবুর রস, মধু, কাঁচা দুধ, মুলতানি মাটি, টমেটো দিয়ে ফেস প্যাকটি বানিয়ে নিতে পারেন। 


৭. দুই সপ্তাহে একবার মুখে স্ক্র্যাব করুন।বেশির ভাগ সময় টিনএজারদের ত্বক ব্লক হয়ে যায় ধুলো ময়লায়। আর সেই ধুলো ময়লায় ঘাম বসে স্কিন বাজেভাবে ব্লক হয়ে যায়। তাই দুই সপ্তাহে অন্তত একবার স্ক্র্যাব করুন। 


৮. স্কিনের নানা সমস্যা যেমন পিম্পল, ব্রেক আউট, র‌্যাশ ইত্যাদি হলে কারও থেকে শুনে বা নিজে নিজে কিছু একটা কিনে ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন। তার চেয়ে ভালো চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নিন।

No comments: