আপনার খাওয়ার অভ্যেস হৃদরোগ ও স্ট্রোকের জন্য দায়ী নয়তো ??
ভাজা-পোড়া ও ফাস্টফুড খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। কিন্তু এই খাওয়ার গুলি আপনার অজান্তেই অনেক সময় আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে ফেলে। এই খাওয়ারে থাকে অত্যাধিক পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ১৪.১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এই রোগের শিকার হয়ে থাকেন।
১. মাখন -
মাখনে অধিক পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে । প্রায় ৭ গ্রাম মাখনে থাকে ১৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তাই যতটা সম্ভব মাখন কম খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো। তবে আপনি যদি প্রতিদিন মাত্র এক থেকে দুই চামচ মাখন খান, তাতে স্বাস্থ্যের খুব সমস্যা হবে না।
২. কেক -
ক্রিম কেক খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। মাসে এক বা দুইদিন সামান্য কেক খাওয়া যেতে পারে। তবে যদি খুব বেশি পরিমানে কেক খাওয়া হ্য় তবে আপনার সমস্যা হতে পারে। কারন এতে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে।
৩. ক্রিম –
বিভিন্ন রকম কেক এবং পেস্ট্রি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ক্রিম। প্রায় ১৫ গ্রাম এক টেবিল চামচ ৩ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এতে ওজন বেড়ে যায় দ্রুত পাশাপাশি শরীরের জন্যও এটি ক্ষতিকর।
৪. ভাজা খাবার –
চটজলদি ভাজা খাওয়ার খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। তবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, নাগেটসের মতো ভাজা খাবারগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। না হলে তা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
৫. মেয়োনিজ -
খুবই সুস্বাদু মেয়োনিজ একঘেয়েমি খাওয়ার কেও সুস্বাদু করে তোলে। তাই অনেকেই বিভিন্ন খাওয়ারেরে সাথে মিশিয়ে মেয়োনিজ খেয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক চা চামচ মেয়োনিজে ১৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এমনকি যদি দিনে ৩-৪ চামচ খাওয়া হয় তবে তা ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে।
৬. চিজ -
চিজে ৩.৬ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তাই হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে চিজ খাওয়ার পরিমাণ কমানোই ভালো।
No comments: