দ্রুত সমাধান গ্যাসের সমস্যার

 

ভাজা-পোড়া খাবার বেশি খাওয়ার পর অনেকেই গ্যাসের সমস্যায় কমবেশি সবাই ভুগে থাকেন। আর গ্যাসের সমস্যায় বুক জ্বালা-পোড়া করলেই ওষুধ খেয়ে নেন সকলে। তবে দীর্ঘদিন এভাবেই যদি আপনার জীবন চলতে থাকে তাহলে লিভার বা কিডনি অকেজো হইয়ে যেতে পারে। কারণ এসব গ্যাসের ওষুধ নিয়মিত খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

পাকস্থলীর গ্যাসট্রিক গ্ল্যান্ডে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণের ফলে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। সাধারণত অনেকক্ষণ খালি পেটে খাকলে, অতিরিক্ত চা, কফি খেলে বা অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা ইত্যাদি কারণে গ্যাস হতে পারে। আর এই গ্যাসের কারণেই পেট ফুলে ওঠে, ঢেকুর ওঠে, বুক জ্বালা করে ও পেটের অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।

এই সমস্যা থেকে কি ভাবে মুক্তি পেতে পারেন? 

১. অসময়ে এবং অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।

২. অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন, লবণ, তেল, মরিচ ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

৩. কোনো বেলার খাবার বাদ দিবেন না।

৪. ধূমপান, অ্যালকোহল, চা, কফি এবং অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধ এড়িয়ে চলুন।

৫. নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখুন।

৬. দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকবেন না।

৭. রাতের খাবার ৭-৮টার মধ্যেই খেযতে হবে।

৮. সাইট্রাস ফল খুব বেশি পরিমাণে খাবেন না।

৯. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়বেন না।

গ্যাসের সমস্যায় আয়ুর্বেদিক সমাধান-

১. দারুচিনিতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। এজন্য আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো এক কাপ জলে মিশিয়ে ফুটিয়ে পান করুন। দিন তিনবার এই চা পান করুন।

২. আপনার ডায়েটে ডালিম, কলা, স্টিউড আপেল, বরই, কিসমিস, এপ্রিকট, নারকেল বা মৌসুমী যেকোনো ফল রাখুন।

৩. পুদিনা পাতা অ্যাসিড নিঃসরণের গতি কমায় এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এই পাতায় থাকা উপাদানসমূহ অ্যাসিড ও গলা, বুক জ্বালা কমায়। এজন্য কয়েকটি পুদিনা পাতা একটি পাত্রের জলে নিয়ে ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে ঠান্ডা করে পান করলে অনেকটাই উপকার পাবেন।

৪. টকদইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে অ্যাসিড জমা হওয়া প্রতিরোধ করে। এর সঙ্গে গোলমরিচ যোগ করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে। টকদইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে।

৫. এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাসিড কমিয়ে স্বস্তি দিতে পারে মৌরি। এজন্য খাওয়ার পর মৌরি চিবিয়ে খেলে বদহজম এবং পেট ফাঁপা রোধ হয়।