কোন ফেস প্যাক আপনার জন্য উপযুক্ত, জেনে নিন
আমরা সবাই নিশ্ছিদ্র এবং সুন্দর দেখতে চাই। আমাদের ত্বক তারুণ্য এবং উজ্জ্বল অনুভূত হয়েছে। এর জন্য আমাদের কী করা উচিৎ, এই সমস্যা নয়। সমস্যা হল এতগুলো ফেসপ্যাকের মধ্যে আমরা কীভাবে আমাদের ফেসপ্যাক বেছে নেব? তাই আজ আমরা আপনাদের জানাচ্ছি কোন সমস্যায় কোন ফেসপ্যাক লাগাতে হবে।
টানটান এবং টোনড ত্বকের জন্য
এক কাপ বাটারমিল্কে 4 চা চামচ সেদ্ধ ওটমিল যোগ করুন এবং এটি ঘরের তাপমাত্রায় না আসা পর্যন্ত রেখে দিন। এখন বাদাম তেল এবং জলপাই তেল যোগ করুন এবং এটি মেশান যাতে পেস্ট প্রস্তুত হয়। এই পেস্টটি আপনার মুখে লাগান এবং 20 মিনিটের জন্য রেখে দিন। এবার ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
হাইড্রেশনের জন্য
তাজা নারকেলের দুধ বের করুন এবং এতে অর্ধেক শসা যোগ করুন। এই পেস্ট মুখে লাগান। আপনি তাত্ক্ষণিকভাবে সতেজ এবং হাইড্রেটেড বোধ করবেন। নারকেলের দুধ আপনার অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং শসা আপনার সংবেদনশীল ত্বককে রক্ষা করে।
নরম ত্বকের জন্য -
একটি পাত্রে 2 চামচ দই নিন, 4-6 ফোঁটা অলিভ অয়েল যোগ করুন এবং ভালভাবে মেশান। এই মিশ্রণটি মুখে লাগান। 20 মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক সবসময় কোমল থাকবে এবং বলিরেখার নাম-ও-চিহ্ন মুছে যাবে।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য -
একটি অ্যাভোকাডো এবং একটি কিউই খোসা ছাড়ুন। তাদের মিশ্রিত করুন। এবার এতে পেঁপের পাল্প দিন। এই মিশ্রণটি মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। আধা ঘণ্টা পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সতেজ এবং তারুণ্যময় ত্বকের জন্য
গ্রিন টি বানিয়ে তাতে ডালিমের পেস্ট মিশিয়ে নিন। ডালিমের পেস্টে এর বীজ যোগ করুন। এবার এতে মধু ও লেবুর রস মেশান। এই পেস্টটি আধা ঘণ্টা মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং তারপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি একটি পিলিং প্যাকের মতো কাজ করে এবং সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযুক্ত। মনে রাখবেন এই প্যাকটি প্রতিবার ফ্রেশ করুন। পুরানো প্যাক অক্সিডাইজড হয়ে যাওয়ার পর ত্বকের জন্য ভালো নয়।
No comments: