দই খাওয়ার উপকারিতা এবং অসুবিধা
দই একটি 'থ্রি ইন ওয়ান' খাদ্য উপাদান যা শরীরের জন্য কোনও ওষুধের চেয়ে কম নয়।এই দইয়ে তিনটি উপাদান একসাথে থাকে যেহেতু সবাই এটি পছন্দ করে, এটি যে কোনও মরশুমে খাওয়া যেতে পারে এবং এটি খাওয়ার অনেকগুলি উপায় রয়েছে। এর বাইরে দইয়ের বৈশিষ্ট্যগুলি দেখলে এটিকে বহু প্রতিভাধরও বলা যেতে পারে। কারণ এটি খাওয়া হজমের পক্ষে ভাল, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকে এবং এতে থাকা খনিজ-ভিটামিনগুলি রোগগুলি আপনার থেকে দূরে রাখে। তবে এখানেই শেষ হয় না। আজ আমাদের এই নিবন্ধে দই সম্পর্কে আরও অনেক আকর্ষণীয় বিষয় রয়েছে যেমন দই খাওয়ার দুর্দান্ত সুবিধা, ৩ মজার উপায় এবং এর পুষ্টিগুণ, যা আপনার জানা দরকার।
দই খাওয়ার উপকারিতা এবং অসুবিধা :
- দই খেলে ক্ষুধা বাড়ে
- দই খাওয়া শক্তি দেয়
- দই খাওয়া বদহজম, ডায়রিয়া এবং মূত্রথলির মতো সমস্যা দূর করে।
- দিনের বেলা সর্বদা দই খান বা অন্যথায় রাতে দই খেলে হজমের বিষের কারণে হজম হতে পারে।
- দইয়ের সাথে কালো নুন এবং জিরা বীজ খেলে হজম ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়।
- দই খেলে মুখের ত্বক চকচকে হতে শুরু করে এবং রিঙ্কেলস।
-পিম্পলসের মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
- দইয়ের ভিতরে ল্যাকটোবিলি জাতীয় উপকারী ব্যাকটিরিয়া পাওয়া যায় যা হজমের প্রক্রিয়াটিকে দ্রুততর করে তোলে।
-দই আয়োডিনের সেরা উৎস।
- দইতে ক্যালরি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন বি ১২, পটাসিয়াম, দস্তা, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড ইত্যাদি রয়েছে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল।
দই খাওয়ার ৫-টি উপায় - দইয়ের সাথে স্ট্রবেরি, ডালিম খান, এটি সারা দিন সতেজতা বজায় রাখবে।
নরম ও নরম রুটির সাথে দই মেশান।
বাচ্চাদের জন্য মিষ্টি এবং ঠান্ডা
দইতে তাজা ফলগুলি মিশিয়ে নিন - গ্রীষ্মের বিষয়ে কথা বললে, শসা বা আনারস রাইতা তৈরি করুন। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী হবে।
দইয়ের পুষ্টির মান
যদি আপনি ১০০ গ্রাম দইয়ের কথা বলেন তবে এতে ফ্যাট ৪ শতাংশ, খনিজ ০.৮ শতাংশ, কার্বোহাইড্রেট ৩ মিলিগ্রাম, বি কমপ্লেক্স ১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৪৯ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৯৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ১০২১ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন সি অল্প পরিমাণে রয়েছে।
No comments: