হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে এই বিষয়গুলোর দিকে নজর দিন

বর্তমান সময়ে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় বহু মানুষ ভুগছে। বয়স্ক থেকে যুবক এই সমস্যার শিকার হতে পারে সব বয়সের মানুষ। উচ্চ রক্তচাপের কিছু ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে স্থূলতা, অত্যধিক অ্যালকোহল পান করা, ধূমপান, একটি আসীন জীবনধারা, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পারিবারিক ইতিহাস, তবে নিয়মিত ব্যায়াম রক্তচাপ কমাতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ রক্তের অত্যধিক শক্তি দীর্ঘ সময়ের জন্য ধমনীর দেয়ালে প্রয়োগ করা হয়, এটি হৃদরোগের কারনে হতে পারে। হৃদপিণ্ড যত বেশি রক্ত পাম্প করবে এবং ধমনী যত সরু হবে, রক্তচাপ তত বেশি হবে। উচ্চ রক্তচাপের খুব কমই লক্ষণ দেখা যায়, কারণ এক্ষেত্রে অবস্থা একেবারে খারাপ না হওয়া পর্যন্ত কোনো উপসর্গ থাকে না। যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে এটি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করার জন্য কিছু টিপস

নিয়মিত রক্তচাপ চেকআপ: নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা বা রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।

লবণ খাওয়া কমান: লবণ খাওয়া কমানো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। খাবারে অতিরিক্ত লবণ যোগ করা এড়িয়ে চলুন।

ওজন: অতিরিক্ত ওজন অনেক রোগের জন্য একটি সাধারণ ঝুঁকির কারণ। স্বাভাবিক রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখার জন্য একটি স্বাভাবিক শরীরের ওজন গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যায়াম : ব্যায়াম বা শারীরিক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত হয়ে নিজেকে সুস্থ রাখুন। সুস্থ জীবন যাপন করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে যাবে এবং ব্যায়াম হার্টও সুস্থ থাকবে।রোজকার রুটিনে ৩০মিনিটের ওয়ার্কআউট সেশন অন্তর্ভুক্ত করুন।

অ্যালকোহল এবং তৈলাক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন: অ্যালকোহল, চর্বিযুক্ত খাবার, ধূমপান, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এবং অতিরিক্ত শরীরের ওজন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।

খাদ্যতালিকায় আদা অন্তর্ভুক্ত করুন: আদা একটি অলৌকিক মশলা। পুষ্টিগুণে ভরপুর আদা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেশী শিথিল করে। এটি চা, স্যুপ এবং তরকারিতে যোগ করার চেষ্টা করুন।

● আইসোমেট্রিক হ্যান্ডগ্রিপ শক্তিশালীকরণ ব্যায়াম রক্তচাপ দ্রুত নর্মাল করতে সহায়ক হতে পারে। বলা হয় যে আট সপ্তাহের সময়ের মধ্যে, একই রক্তচাপ ৮ থেকে ১০ mmHg কমাতে পারে। তবে উচ্চ রক্তচাপের সংকটের ঝুঁকি এড়াতে, ব্যায়াম করার আগে একবার ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা করা উচিৎ।