সতর্ক হোন!! মেয়াদ উত্তীর্ণ লিপস্টিক অসুস্থ করে তুলতে পারে
মেয়েদের কাছে লিপস্টিক খুব প্রিয় একটি প্রসাধনী। মেয়েরা নানান রকমের লিপস্টিক পড়তে ভালোবাসে। কিন্তু অনেকে এমন আছে যে তারা শুধু লিপস্টিক পরতেই নয় কিনতেও খুব ভালোবাসে। অবশ্য দোকানে গেলে আমরা একসঙ্গে অনেকগুলো পছন্দের কালারের লিপস্টিক কিনে ফেলে। কিন্তু দেখা যায় যে এতগুলো লিপস্টিক ব্যবহার হয়না। মাঝে মাঝে ব্যবহার হয়। সেগুলো পরে থাকে সেই মেকআপ বক্সে। ফলে সেগুলো আস্তে আস্তে মেয়াদ উত্তীর্ন হয়ে যায়।
কিন্তু সমস্যার কথা হলো আমাদের মধ্যে খুব কম মেয়েরাই আছে যারা লিপস্টিকের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ চেক করবে। তাই মেয়াদ উত্তীর্ণ লিপস্টিক তারা ব্যবহার করতে থাকে। কিন্তু এটি ঠোঁটের এবং স্কিনের কতো ক্ষতি করছে তা জানো?
লিপস্টিক পুরানো তা কিভাবে চিনবেন?
প্রথমে লিপস্টিকে লেখা এক্সপায়ারি ডেট দেখে নিন।
লিপস্টিকের গন্ধ কি বদলেছে? পুরনো হয়ে গেলে এর গন্ধও বদলে যায়।
দেখুন এর থেকে আর্দ্রতা বের হচ্ছে এবং তা ঠোঁটে পিছলে যাচ্ছে কিনা।
* একটি ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ১২ থেকে ১৮ মাস স্থায়ী হয়।
মেয়াদ উত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহার করলে ক8 কি ক্ষতি হতে পারে?
ঠোঁটের উপর বা চারপাশে চুলকানি : মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিকে ব্যাকটেরিয়া থাকে যা মুখের চারপাশে চুলকানি এবং জ্বালা করে। লিপস্টিকে ল্যানোলিন রয়েছে, যার একটি জটিল গঠন রয়েছে এবং সহজেই অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া যেমন শুষ্কতা, চুলকানি হতে পারে।
কিডনি ব্যর্থতা, রক্তাল্পতা এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি: মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিকে ল্যানোনিনের শোষণ শক্তিশালী। এটি বাতাস থেকে ধুলো, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ভারী ধাতু শোষণ করতে পারে, যা ঠোঁট দ্বারা শোষিত হতে পারে। লিপস্টিক লাগিয়ে কিছু খান বা পান করেন, তখন এই ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে এবং অসুস্থ করে তোলে ।লিপস্টিকেও সীসা এবং ক্যাডমিয়াম বেশি থাকে। মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহারে সীসা বিষক্রিয়া হতে পারে, যা কিডনি ব্যর্থতা, রক্তশূন্যতা, মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে।
স্তন টিউমার: লিপস্টিকে বিএইচএ সহ প্রিজারভেটিভ এবং ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে। মেয়াদ উত্তীর্ণ লিপস্টিক লাগান, তখন এটি স্তনে টিউমার হতে পারে।
লিপস্টিক লাগানোর পর কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে দেরি করবেন না চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
No comments: