ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে নয়নতারা

 প্রকৃতিতে এমন অনেক জিনিস পাওয়া যায় যা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।  এর মধ্যে একটি নয়নতারা  ফুল।  এটি খুব পরিচিত একটি ফুল। অনেক বাড়ির বাগানে বা ছাদে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন রঙের নয়নতারা ফুল হয়। যেমন - লাল, সাদা, গোলাপি ইত্যাদি।

  এতে রয়েছে ভিনডোলিন নামক উপাদান, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।  এছাড়াও এতে ভিনব্লাস্টিন এবং ভিনক্রিস্টিন উপাদান পাওয়া যায়, যা ক্যান্সার প্রতিরোধী। আরও  নানা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে নয়নতারা। যেমন -

 ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে :-

নয়নতারা  ফুলের গাছের পাতা থেকে ন্যানোকার্বন উপাদান আহরণ করা হয়। এই ন্যানোকার্বন তাৎক্ষণিকভাবে ক্যান্সারের কোষ শনাক্ত করে এবং ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এই গাছটি আয়ুর্বেদে অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

চর্মরোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক :- 

নয়নতারা পাতাও খুব উপকারী। এটি চর্মরোগ নিরাময় করে।  চুলকানির সমস্যায় নয়নতারা পাতা পিষে আক্রান্ত স্থানে লাগালে, চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।  এছাড়াও এটি ত্বকের অন্যান্য সমস্যা যেমন নখ, ব্রণ, বলিরেখা , ইত্যাদি দূর করতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে :-   

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে নয়নতারা। এর ফুল ও পাতা দুটোই এর জন্য কার্য্যকর। এর জন্য এক গ্লাস জলে ৬ থেকে ৭টি ফুলের পাতা মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে এই জল পান করতে হবে ।

এছাড়া এই গাছের মূলে আজমালসিন নামক অ্যালকালয়েড পাওয়া যায়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।  যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তারা যদি নয়নতারা গাছের মূল চিবিয়ে সকালে খান, তাহলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ।

কিডনির পাথর নিরাময় করে :-

কিডনিতে পাথরের সমস্যা থাকলে ব্যবহার করুন নয়নতারা। এর জন্য এক মুঠো পাতা নিয়ে ভালো করে ধুয়ে তিন কাপ জলে  ফুটিয়ে নিন। জল এতটা ফুটিয়ে নিন যে তা যেন অর্ধেক থাকে।  দিনে দুবার এই জল পান করুন।  দ্বিতীয় দিনে একটি নতুন মিশ্রণ প্রস্তুত করুন। এবভাবে নিয়মিত করলে তফাৎ বুঝতে পারবেন।

 ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য  :- 

তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা নয়নতারা  পাতার রস পান করলে বা এর পাতা চিবিয়ে খেলে ডায়াবেটিসে উপকার পাবেন। কারন এই  উদ্ভিদে পাওয়া অ্যালকালয়েডগুলি অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষকে শক্তিশালী করে, যার ফলস্বরূপ শরীর সঠিক পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করতে শুরু করে।