শিশুকে ঘুম পড়ানোর আগে নিরাপত্তার এই বিশেষ নিয়মগুলি খেয়াল রাখতে হবে
একটি ছোট শিশুর যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু বিষয় রয়েছে যা যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে শিশুর খাবারের সঙ্গে ঠিকমতো ঘুমানোটাও জরুরি। এটি তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুকে ঘুমানোর সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যাতে সে বিছানা থেকে পড়ে না যায়। এর পাশাপাশি তিনি পরিপূর্ণ ঘুম পেতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে, আজ আমরা আপনাকে কিছু সুরক্ষা নিয়ম বলব, যা প্রতিটি পিতামাতার শিশুকে ঘুমানোর সময় অবলম্বন করা উচিত।
আপনার শিশুর জন্য সঠিক গদি চয়ন করুন
ছোট শিশুর হাড় দুর্বল। এমন অবস্থায় ভুল গদিতে ঘুমালে তার হাড়ের ক্ষতি হতে পারে। এর পাশাপাশি শিশুর ত্বকে ফুসকুড়ি, জ্বালাপোড়া, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা থাকবে না। তাই শিশুর ওজন ও আকার অনুযায়ী বিছানা ও তোষক কিনুন। এর পাশাপাশি, বিছানায় জলরোধী চাদর বিছিয়ে তাকে ঘুমাতে দিন। যাতে শিশুকে ভেজা সমস্যায় পড়তে না হয়।
শিশুকে ঘুমানোর সময় খুব বেশি ঢেকে রাখবেন না
সাধারণত, বাবা-মায়েরা ছোট বাচ্চাকে বেশি ঢেকে ঘুমোয়। কিন্তু এটি শিশুর জন্য নার্ভাসনেস বা শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। এজন্য বেশি জামাকাপড় না পরে তাকে এমন ঘরে ঘুমান যেখানে ঠান্ডা কম। এ ছাড়া ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ করে শিশুকে ঘুমাতে দিন। ঘুমানোর সময় ওয়ার্মার্স পরা এড়িয়ে চলুন।
শিশুকে একা ঘুমাতে দেওয়া ভুল
এখনকার বাবা-মায়েরা জন্ম থেকেই শিশুকে আলাদা ঘরে একা ঘুমান। তবে এটি প্রথম ছয় মাস এড়িয়ে চলা উচিত। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে, জন্ম থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিশুর বিশেষ যত্ন ও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। এমতাবস্থায় বাবা-মায়ের উচিত সন্তানকে তাদের নিজের ঘরে ঘুমানো। যাইহোক, যদি আপনার বিছানা ছোট হয়, তাহলে আপনি ঘরে একটি খাঁচা লাগাতে পারেন এবং সেখানে শিশুকে ঘুমাতে পারেন।
ঘরে ধূমপান এড়িয়ে চলুন
ছোট বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই দুর্বল। এমন পরিস্থিতিতে তারা অচিরেই রোগের শিকার হতে পারে। তাই শিশুর ঘরে যেন ধূমপান না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। এর ধোঁয়া শিশুর গলায় গিয়ে তাকে অসুস্থ করে দিতে পারে। এ ছাড়া শিশুর ঘুমের ঘরে বৈদ্যুতিক মেশিন রাখা এড়িয়ে চলুন। এক্ষেত্রে শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
আপনার শিশুকে সোফা বা আর্মচেয়ারে ঘুমাতে দিয়ে ভুল করবেন না
অনেকে শিশুকে সোফা বা আর্মচেয়ারে ঘুমাতে দেন। কিন্তু এসবের উপর ঘুমালে শিশুর নিচে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই সব সময় বিছানার মাঝখানে কুশন রেখে ঘুমাতে দিন।
দ্রষ্টব্য- আপনি এই টিপসগুলির সাহায্যে শিশুকে সহজেই ঘুমাতে পারেন। এ ছাড়া আপনার শিশুর ঘুমের কোনো সমস্যা হলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments: