রুম হিটার ব্যবহার করলে জেনে নিন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং ব্যবহার করার নিয়ম
অনেকেই ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে বা শরীর গরম রাখতে রুম হিটারের ব্যবহার করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি বৃদ্ধ আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। তবে আপনি যদি হিটারটি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করেন, তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আগে থেকে জানা এবং এর সাথে সম্পর্কিত সতর্কতা অবলম্বন করা আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
হিটারের কাজ হল ঘরে উপস্থিত বাতাসকে গরম করা। শুধু তাই নয়, তবে সমস্যা হলো বাতাস গরম করার পাশাপাশি হিটার এটিকে শুষ্কও করে দেয়, যার কারণে আমাদের স্বাস্থ্যের নানাভাবে ক্ষতি হতে পারে। যেমন -
ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় - বাতাস থেকে আর্দ্রতা নষ্ট হওয়ার কারণে ত্বক থেকে আর্দ্রতা চলে যেতে শুরু করে এবং ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। যদি ত্বক ইতিমধ্যেই শুষ্ক বা সংবেদনশীল হয়। তাহলে আপনি ফ্ল্যাকিংয়ের অভিযোগও করতে পারেন। ত্বক ভেঙ্গে গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
চোখের সমস্যা : চোখ ভালো রাখতে তা সবসময় আর্দ্র রাখা প্রয়োজন। কিন্তু ঘরে যখন হিটার বেশিক্ষণ চলে, তখন বাতাসে শুষ্কতার কারণে চোখও শুকিয়ে যেতে থাকে। যার কারণে শুধু চোখে জ্বালাপোড়াই হয় না, সংক্রমণেরও সম্ভাবনা থাকে। এমন অবস্থায় বারবার হাত দিয়ে চোখ স্পর্শ করলে কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।
হাঁপানি: যদি হাঁপানি, শ্বাসযন্ত্রের অ্যালার্জি বা শ্বাসযন্ত্রের কোনো রোগ থাকে, তাহলে একটানা বেশিক্ষণ হিটার ব্যবহার করা উচিৎ নয়। হিটারে শুধু বাতাসই শুকিয়ে যায় না, অনেক হিটার ক্ষতিকর গ্যাসও দূর করে।
হিটার ব্যবহারের আগে এইসব বিষয় জেনে নেওয়া উচিত।
● আপনি যদি হিটার কিনছেন, তাহলে তেল হিটার নেওয়াই ভালো। এটি একই তাপমাত্রায় বাতাসকে উত্তপ্ত করে।
● রাতে কখনই হিটার চালাবেন না। বা যদি হিটার চালাতেই হয়, তাহলে ঘুমনোর ১ থেকে ২ ঘণ্টা আগে চালান। ঘর গরম করুন এবং ঘুমনোর আগে তা বন্ধ করুন।
● হিটারের কাছে জল ভর্তি একটি পাত্র বা বাটি রাখুন। এটি বাতাসে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং বাতাসে শুষ্কতা হ্রাস করবে।
No comments: