আপনার ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে এই খাবার

 ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আজকাল খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে।  ইউরিক অ্যাসিড হল এক ধরনের রাসায়নিক যা শরীরে পিউরিন ভেঙে তৈরি হয়।  পিউরিন হল এক ধরনের প্রোটিন, যা শরীরের নির্দিষ্ট কিছু খাবার এবং কোষ থেকে তৈরি হয়। বিভিন্ন কারনে ইউরিক অ্যাসিড হতে পারে। যেমন- খারাপ খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপন, শারীরিক ব্যায়ামের অভাব ইত্যাদি।

তবে সবচেয়ে বেশি খারাপ প্রভাব ফেলে খাবার। যেসব খাবারে পিউরিন বেশি থাকে সেসব খাবার খেলেও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়।  তাই যাদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে তাদের অনেক রকম খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। বিশেষ করে লিভার এবং কিডনির মতো অঙ্গে  মাংস খাওয়ার কারণে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়।  এছাড়া বিভিন্ন সবজির বীজ, দানা শস্য, শুকনো মটরশুঁটি, বিনস্ , মাশরুম এবং বাঁধাকপির মতো সবজিও ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়।

 তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ইউরিক অ্যাসিডের রোগীরা তাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।  আজ আপনাদের এই সম্পর্কে একটি নতুন তথ্য জানাব। আসুন জেনে নেই -

সুস্থ থাকার জন্য মানুষ বিভিন্ন ফল ও সবজির রস পান করে থাকে।  এমনই একটি রস গম ঘাসের রস বা হুইটগ্র্যাস। গমের ঘাসের জুসকে স্বাস্থ্যের দিক থেকে উপকারী বলা হয়। 

গম ঘাসে উপস্থিত খনিজ, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড সহ অনেক এনজাইম আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এটি ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমাতে কার্যকর।

অনেক সময় ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে প্রদাহ হয়। গমের ঘাসে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা সেই প্রদাহ কমাতে উপযোগী।  এই বৈশিষ্ট্যগুলির মাধ্যমে, জয়েন্টগুলির সাথে সম্পর্কিত প্রদাহ এবং ব্যথা উভয়ই হ্রাস করা যেতে পারে।  

কিভাবে ব্যবহার করবেন গম ঘাসের রস? 

 সকালে খালি পেটে গমের ঘাসের রস পান করা ভাল বলে মনে করা হয়। এটিকে সাধারণভাবে পিষে রসের আকারে পান করা যায়। এছাড়াও গম ঘাসের রসে মধু বা লেবু এবং সামান্য গোলমরিচ যোগ করেও পান করা যেতে পারে। গমের ঘাসের জুস ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়েও পান করা যেতে পারে। 

এছাড়া এটি ত্বকের জন্যও উপকারী। এটি ফেসপ্যাকে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়।