আপনার যদি নিম্ন রক্তচাপ থাকে তবে জেনে নিন কিছু ঘরোয়া টোটকা
একটু বয়স বাড়তে না বাড়তেই রক্ত চাপের সমস্যা দেখা যায়। এখন অবশ্য অনেক কম বয়সেও রক্তচাপের সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
আমাদের জেনে রাখা উচিত নিম্ন এবং উচ্চ রক্তচাপ, উভয়ই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রক্তচাপ কম হলে শরীরে রক্তের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম হয়ে যায়। সাধারণ রক্তচাপকে ১২০/৮০ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। রক্তচাপ ৯০-এর কম হলে তাকে সম্পূর্ণ নিম্ন রক্তচাপ বলে। রক্তচাপ কম হলে শরীর খুব দুর্বল হয়ে যায়।
তবে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তা বেশি করে খাবার খেলে সেই সমস্যা দূর হয়ে যায়। এর জন্য আজ আপনাদের বলব কিছু ঘরোয়া খাবার যা খেলে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যার সমাধান হয়।
১. তুলসী -
যারা রক্তচাপের গুরুতর সমস্যায় ভুগছেন, তারা প্রতিদিন তুলসীর ৩ থেকে ৪ টি পাতা খেলে রক্তচাপ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে যায়। ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো অনেক উপাদান তুলসীতে পাওয়া যায়, যা সম্পূর্ণরূপে মনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং মানসিক চাপকে দূর করে।
লবণ -
লো ব্লাড প্রেসারের জন্য লবণ জল খুবই উপকারী। এটি রক্তচাপকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। লবণে সোডিয়াম থাকে যা রক্তচাপকে সম্পূর্ণরূপে বাড়িয়ে দেয়। তবে মনে রাখবেন লবণের পরিমাণ এতটা বাড়াবেন না যে তা স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলবে।
ডিম -
ডিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডিমে উপস্থিত ভিটামিন বি-১২ লোহিত রক্তকনিকার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। তাই যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ডিম অত্যন্ত উপকারী।
লেবুর রস -
অল্প লবণ ও চিনি মিশিয়ে লেবুর রস পান করলে লো ব্লাড প্রেসারে জন্য খুব উপকার পাওয়া যায়।
পনির -
নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকলে পনির খাওয়া উচিত। কারন পনিরে রয়েছে উচ্চমাত্রায় লবন। এটি নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কফি -
রক্তচাপ একেবারে কম হয়ে গেলে প্রতিদিন এক কাপ কফি পান করুন, তবে মনে রাখবেন এর সঙ্গে কিছু না কিছু খেতেই হবে।
কিশমিশ -
রাতে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে খান। আপনি অবশ্যই সেই জলটিও পান করতে পারেন। আপনি মাসে একবার এটি করতে পারেন।
এ ছাড়া এক গ্লাস দুধে ৪-৫টি বাদাম ও ১০ থেকে ১৫টি কিশমিশ দিয়ে খেতে পারেন। এটি রক্তচাপের গুরুতর সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে।
এছাড়া এই সময় মাছ, মাংস, ঘি জাতীয় প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
No comments: