রকমারি ডালের রকমারি উপকারিতা, জেনে নিন

 আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের ডাল খাই। ডাল শরীরের বিভিন্ন রকমের চাহিদা পূরণ করে। প্রতিটি ডালই পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে এক একটি ডালের এক একেক রকম উপকারিতা।  আসুন আমরা বিভিন্ন ডাল সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানি।

  মসুর ডাল :

 মুসুর ডাল প্রোটিনের অন্যতম উৎস। মসুর ডাল খাওয়া খুবই উপকারী।  মসুর ডালের স্বাদ গরম, এটি শরীরে পরিপূর্ণ পুষ্টি যোগায়।  মসুর ডাল ক্যালোরি, প্রোটিন, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ভিটামিন বি৬ এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ।  মসুর ডাল খেলে ডায়াবেটিস, স্থূলতা, ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।  এছাড়া ওজন কমাতেও মসুর ডাল উপকারী। মুসুর ডাল হজমেও সাহায্য করে। এটি পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। 

 মটর ডাল : 

মটর ডাল প্রচুর পরিমান প্রোটিন, ফাইবার, খনিজ, ভিটামিন সমৃদ্ধ। এগুলি হজমে সাহায্য করে। মটর দলে উপস্থিত ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। 

  কুলথি ডাল :

প্রোটিনে ভরপুর ডাল গুলোর মধ্যে অন্যতম ডাল গাইট।

এছাড়া এতে রয়েছে এনার্জি, জল, মিনারেল, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট ও ফসফরাস।  এটি হাড়কে শক্তিশালী করে।  গাহট ডাল ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ঠান্ডা এবং ফ্লু থেকে মুক্তি দেয়।  

অড়হর ডাল :

অড়হর ডালও প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, সোডিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান এই ডালে পাওয়া যায়।  অড়হর ডালে প্রচুর পরিমান ফাইবার আছে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়া ফাইবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি আপনাকে শক্তিমান রাখতেও সাহায্য করে।  অড়হর ডাল ভিটামিন বি-এর ঘাটতিও পূরণ করে।

 এটি রক্তের অভাবও দূর করে।  এটি খেলে ওজন কমে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।   অলসতা, ক্লান্তি দূর করতে অবশ্যই খান অড়হর ডাল।

  রাজমা :

সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি রাজমা নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। ক্যালোরি, পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, সোডিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি এর মতো পুষ্টি উপাদান রাজমাতে পাওয়া যায়।  রাজমা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়।  রাজমাতে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা আপনাকে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।  

এছাড়া রাজমা নিয়মিত খেলে হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।