সাবধান!! কিছু সাধারণ লক্ষণও হতে পারে কিডনি সমস্যার প্রতিফলন
আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে অন্যতম কিডনি। কিডনির প্রধান কাজ হল রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল ফিল্টার করে রক্ত পরিষ্কার করা এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখা।
একটি সুস্থ কিডনি একটি সুস্থ শরীর গঠনে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। তাই কিডনি সুস্থ রাখে অন্তঃনয় গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু আমাদের লাইফস্টাইল এবং ডায়েট আমাদের কিডনির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। কিডনির সমস্যা তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে তা চিকিৎসার মাধ্যমে তাড়াতাড়ি এড়ানো যায়। তাই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত। তবে বেশিরভাগ মানুষ এটি অবহেলা করেন।
তাই এর থেকে সতর্ক হতে আজ এই পর্বে আপনাদের জানাব কিডনি বিকল হওয়ার কিছু লক্ষণ।
১. ক্লান্তি এবং দুর্বলতা:
এটি খুব সাধস্তন একটি লক্ষণ। অনেক কারনেই আমাদের ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয়। তবে এটিকে সাধারন ভাবে নেবেন না। কারন কিডনির কোনো সমস্যা হলেও প্রায়ই ক্লান্তি বা দুর্বলতা বোধ হয়। কিডনি ফেইলিউরের কারণে রক্তে টক্সিন জমা হতে শুরু করে, যা শরীরকে দুর্বল করে এবং ক্লান্তির দিকে নিয়ে যায়।
অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া :
এটি কিডনির সমস্যার একটি বড়ো লক্ষণ। একজন সুস্থ ব্যক্তির দিনে ৬ থেকে ১০ বার প্রস্রাব হয়, অত্যধিক প্রস্রাব কিডনি ব্যর্থতার লক্ষণ হতে পারে।
কারোর আবার প্রস্রাবে রক্তও থাকতে পারে। কিডনি ফেইলিউরের কারণে রক্তের কোষগুলো প্রস্রাবে বেরিয়ে যায়।
ত্বকের ক্ষতি:
শুষ্ক এবং চুলকানি ত্বক কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। কিডনি ফেইলিউরের কারণে কিডনি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে পারে না এবং তা রক্তে জমতে শুরু করে, যার ফলে ত্বকে চুলকানি, শুষ্কতা এবং দুর্গন্ধ হতে পারে।
হাত-পা ফোলা :
কিডনিতে কিছু ত্রুটি দেখা দিলে শরীরে সোডিয়াম তৈরি হতে থাকে। এই সোডিয়ামের কারনে হাত, পা, গোড়ালি ফুলে যায়। কিডনির সমস্যার কারণেও চোখ ও মুখ ফোলা দেখা যায়।
ওজন হ্রাস পায় :
শরীরে টক্সিন এবং বর্জ্য জমা হওয়ার ফলে ক্ষিদে কমে যায় যা ওজন কমতে শুরু হয়। ক্ষিদে কমে যাওয়ার কারণে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
No comments: