গর্ভাবস্থায় নিজে এবং শিশুকে সুস্থ রাখতে চাইলে কিছু কাজ এড়িয়ে চলুন
গর্ভাবস্থায় সময়কালটি সমস্ত নারীদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। এই সময় যেমন একটা আনন্দ থাকে তেমন থাকে একটা ভয়। এই সময় নারীদের খুব সাবধানে চলাফেরা করা উচিত। মায়েদের খাওয়া এবং পান করা থেকে শুরু করে কাজ সবই শিশুকে প্রভাবিত হয়।
গর্ভধারণের পর, সময়ের সাথে সাথে একজন মহিলার শরীর পরিবর্তন হতে থাকে। এ সময় মায়েদের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ক্রমবর্ধমান ওজনের কারণে মহিলার পক্ষে হাঁটাচলা এবং কাজ করাও ভারী হয়ে ওঠে। একজন মহিলাকে গর্ভাবস্থা থেকে প্রসব পর্যন্ত নিজের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন হয়। পুরো দশ মাস, প্রতিটি পদক্ষেপ সতর্ক থাকতে হয়, তবেই মা এবং শিশু উভয়ই নিরাপদ থাকে।
গর্ভাবস্থায় এমন কিছু কাজ রয়েছে যা আপনার এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
দীর্ঘ সময়ের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা :
এসময় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা উচিত নয়। তাই এমন কিছু কাজ এড়িয়ে চলুন যাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে পায়ে চাপ পড়তে পারে, যা ফুলে যাওয়া এবং পিঠে ব্যথার কারণ হতে পারে। যদি রান্না করতে হয় তবে রান্নার মাঝে মাঝে বিরতি নিতে হবে। মর্নিং সিকনেসে আক্রান্ত নারীদের সকালে বেশিক্ষণ দাঁড়ানো উচিৎ নয়।
সিঁড়িতে বেশি ওঠানামা করবেন না: গর্ভাবস্থায় মল বা সিঁড়িতে ওঠা মা ও শিশুর ক্ষতি করতে পারে। এখানে ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে, যাতে অকাল প্রসব বা প্ল্যাসেন্টার অকাল বিচ্ছেদের ঝুঁকি হতে পারে।
ভারী জিনিস তোলা এড়িয়ে চলুন:
গর্ভাবস্থায়, ভারী আসবাবপত্র বা কোন ভারী জিনিস তোলা বা সরানো উচিৎ নয়। এটি মা ও সন্তানের জন্য নারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কারণ এগুলো পিঠে চাপ এবং আঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনগুলি জয়েন্ট এবং পেলভিক ফ্লোরের শক্ত টিস্যুগুলিকে আলগা করে দেয়, যা আঘাতের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।
রাসায়নিক পরিষ্কারের পণ্য বা কোনো স্প্রে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন : গবেষণায় দেখা গেছে যে, কীটনাশকের মধ্যে পাওয়া একটি সাধারণ রাসায়নিক পাইপেরোনাইল বুটঅক্সাইডের প্রসবপূর্ব এক্সপোজার ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশকে ক্ষতি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় কীটনাশক এবং অন্যান্য পরিষ্কারের পণ্য ব্যবহার করা ঠিক নয়।
পেটে যেন চাপ না পড়ে তা দেখতে হবে - কাজ করার ক্ষেত্রে পেটে যেন চাপ সৃষ্টি না হয় সেদিকে দেখতে হবে। কারন গর্ভাবস্থায় পেটে চাপ পড়লে তা সন্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
No comments: