স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে পান করুন লবঙ্গ-দুধ
ছোটো থেকে বড়ো দুধ সবার জন্য উপকারী। লবঙ্গ খুব পরিচিত একটি মশলা। এটি রান্নায় কাজে লাগে। তবে রান্নায় ব্যবহারের থেকেও বেশি ব্যবহার হয় ভেষজ ঔষধি হিসেবে। এটি সর্দিকাশিতে খুবই উপকারী। আজ আমরা লবঙ্গের আরও একটি উপকারী ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করবো।
লবঙ্গ ও দুধ দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দুধে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং রিবোফ্লাভিন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন, খনিজ পদার্থ, চর্বি, শক্তি, ভিটামিন এ, ডি, কে এবং ই সহ আরও অনেক পুষ্টি রয়েছে। আর লবঙ্গ প্রোটিন, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং কপারের মতো উপাদানে সমৃদ্ধ। এই
তবে আমরা সাধারনত এই দুটো উপকারী উপাদান আলাদা আলাদাভাবে ব্যবহার করি। কিন্তু আপনি কি জানেন এই দুটোর একসঙ্গে ব্যবহার কতটা স্বাস্থ্যকর? আসুন আজ এই পর্বে লবঙ্গ-দুধের উপকারিতা গুলো আলোচনা করি।
● দুর্বলতা দূর করে - লবঙ্গ-দুধ পান শারীরিক দুর্বলতা দূর করে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে।
● মুখের দুর্গন্ধ দূর করে - লবঙ্গ খেলে তৎক্ষণাৎ মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, মুখে একটি ফ্রেশ ভাব আসে। তবে আপনি যদি মুখের দুর্গন্ধযুক্ত সমস্যায় ভোগেন তবে এই দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে লবঙ্গ-দুধ পান করুন। এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে।
● রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে - লবঙ্গ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি এনার্জি বাড়াতেও কার্যকর।
● ঠান্ডা লাগার সমস্যায় উপকারী - আপনার যদি ঠান্ডা লাগার সমস্যা থাকে। মাঝেমাঝে জ্বর, সর্দিকাশি গলা ব্যথা, গলা খুশখুশের মতো সমস্যা হয় তবে তা দূর করতেও লবঙ্গের দুধ খুবই উপকারী। এটি শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।
● দাঁতের সমস্যা দূর করে - লবঙ্গের দুধ দাঁতের ব্যথা, দাঁত বা মাড়ির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
কিভাবে লবঙ্গ-দুধ প্রস্তুত করবেন?
লবঙ্গ দুধ প্রস্তুত করতে, প্রথমে, দুধ ভাল করে গরম করুন। এরপর লবঙ্গ পিষে মিহি গুঁড়ো করে নিন। তারপর এক গ্লাস দুধে লবঙ্গের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। আপনি যদি চান তবে স্বাদ অনুযায়ী গুড় বা চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন।
কখন এটি পান করবেন?
আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী যে কোনও সময় লবঙ্গ দুধ পান করতে পারেন। তবে এই দুধ পান করার সেরা সময় হল রাত। আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে লবঙ্গের দুধ পান করেন তাহলে তা আপনার জন্য ভালো হবে। এতে আপনার ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ অনেকাংশে কমে যাবে।
No comments: