বাচ্চারা কোনো অবাঞ্চিত বস্তু খেয়ে নিলে কি করবেন?
ছোটো বাচ্চারা দুষ্টুমি করবে, নানা রকম জিনিসে হাত দেবে। কিন্তু সমস্যার ব্যাপার হলো বাচ্চারা কোনো কিছু হাতে নিয়ে তা আগে খেতে চায়। নতুন কিছু হাতে পেলেই তা মুখে পুরে ফেলে।
এমতাবস্থায়, অভিভাবকদের যত্ন নেওয়া আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যাতে তারা মুখে কিছু আটকে এবং ক্ষতিকারক জিনিস না নেয়। তারা যদি ভোজ্য কিছু খান তাহলে সমস্যা নেই, তবে বেশিরভাগ সময়ই তারা কাঁচ, মুদ্রা, লোহার টুকরো, রাবার এবং পোকামাকড় মুখে দিয়ে ফেলে। এটা শিশুর জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।
এতে শিশুর নাক ও পেটে মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে। এর জন্য আপনাকে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কিন্তু কখনো যদি আপনার শিশু মুখে ও নাকে কিছু নেয়, তাহলে কি করবেন?
শিশুর মুখে কিছু আটকে গেলে কীভাবে বুঝবেন:
শিশু খাওয়া-দাওয়া করার সময় ব্যথা অনুভব করবে।
শ্বাস নেওয়ার সময় শিশুর বুক থেকে শ্বাসকষ্টের শব্দ।
শ্বাস নিতে অসুবিধা হবে।
যদি আপনার শিশু খেলার সময় তাদের মুখে কিছু নেয়, তবে শিশুকে কাশতে বলুন এবং পিঠে চাপ দিন।
এছাড়াও মনে রাখবেন যে শিশুটি খুব ছোট হলে, কাশির সময় পাঁচবারের বেশি চাপ দেবেন না এবং তাদের ঘাড়ের অংশ বাঁকিয়ে রাখুন।
যদি গিলে ফেলা বস্তুটি অনেক ছোট, মসৃণ এবং কম ক্ষতিকারক হয় তবে আপনি কিছু সময় অপেক্ষা করুন। শিশুর শরীরে এর কী প্রভাব পড়ছে তা দেখতে পারবেন। এমন অবস্থায় শিশুকে কিছু খাওয়া বা পান করবেন না।
এ ছাড়া শিশু যদি নাকে বা কানে কিছু নেয় তাহলে কোনও ঝুঁকি নেবেন না কারণ তা বিপদজনক হতে পারে।
এছাড়াও, কিছু গুরুতর অসুস্থতা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দেরি না করে দ্রুত শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
সতর্কতা:
বাচ্চাদের বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের সামনে বা নীচে মেঝেতে কিছু রাখবেন না। বিশেষ করে ওষুধ, মুদ্রা এবং সূঁচের মতো জিনিস। শিশুরা সহজেই এই জিনিসগুলি তাদের মুখে নেয়।
এছাড়া শুকনো ফলের মধ্যে চিনাবাদাম এবং বাদাম আস্ত দেবেন না কারণ এটি তাদের গলায় আটকে যেতে পারে। এছাড়াও, এই অবস্থায় কোনও ঘরোয়া প্রতিকারের চেষ্টা করবেন না। শিশুকে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
No comments: