বিটরুট দিয়ে ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়ান, জেনে নিন এর অন্যান্য উপকারীতা গুলি
সুন্দর হাসির পেছনেও সুন্দর ঠোঁট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমতাবস্থায় নারীর ঠোঁটে ভালো হাসি দিয়ে চোখ রাখাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার যদি সুন্দর ঠোঁট থাকে, কিন্তু গোলাপি না হয়ে ফ্যাকাশে রঙের হয়, তাহলে তা অবশ্যই আপনার সুন্দর হাসি এবং সৌন্দর্য উভয়ের ওপরই প্রভাব ফেলবে। সুন্দর দেখতে নারীরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। তার ঠোঁট যেকোনো নারীর সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। ঠোঁটকে আরও সুন্দর করতে নারীরা বাজারে পাওয়া কেমিক্যাল সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার করেন। এগুলো ব্যবহার করলে সৌন্দর্য বাড়বে, কিন্তু তা আপনার ত্বকের ক্ষতি করে। তাই এমন প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করা উচিত, যা আপনাকে সুন্দর করে তোলে ক্ষতি ছাড়াই। বিটরুট আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিটরুট ঠোঁটে উজ্জ্বলতা আনতে অনেক সাহায্য করে। আপনিও যদি বিবর্ণ ঠোঁটের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে আজ আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঠোঁটকে গোলাপি করার ঘরোয়া উপায় বলতে যাচ্ছি।
উপাদান
1 বীট
বাদাম তেল
একটি ছোট জার
বাড়িতে এটি তৈরি করুন
প্রথমে বিটরুট ভালো করে ধুয়ে নিন, তারপর এর খোসা ছাড়িয়ে গ্রেটার দিয়ে বা গ্রেট করে নিন। এর পর গ্রেট করা বিটরুট শুকিয়ে নিন। শুকনো বিটরুট পিষে পাউডার তৈরি করুন। দুই চামচ বিটরুট পাউডারের সঙ্গে দুই চামচ বাদাম তেল মিশিয়ে আভা তৈরি করুন। একটি পরিষ্কার বয়ামে বা একটি ছোট শিশিতে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। দিনে ও রাতে 2-3 বার ঠোঁট পরিষ্কার করার পর আঙুল দিয়ে ঘুমান।
বিটরুটের অন্যান্য উপকারিতা
এই আভা ছাড়াও বিটরুট একটি ফেসপ্যাকও তৈরি করতে পারে। বিটরুট দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক মুখে গোলাপি আভা এনে দেয়। এর পাশাপাশি বিটরুটে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে মুখকে রক্ষা করে। আসুন আপনাদের বলি যে বীটের রস চোখের চারপাশে উপস্থিত কালো দাগ দূর করতে অনেক সাহায্য করে। বিটরুটের রস মুখে লাগালে মুখে উজ্জ্বলতা আসে।
বিটরুট খেলে আপনার শরীর রক্তশূন্যতার অভিযোগ করে, বিট খান
রক্তস্বল্পতা রোগ কাটিয়ে উঠতে বিটরুটের ব্যবহার সবচেয়ে উপকারী। বিটরুটে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন এবং মিনারেল, যা রক্তকে বৃদ্ধি ও বিশুদ্ধ করতে কাজ করে। নারীদের রক্তস্বল্পতা বেশি হয়। তাই নারীদের খাদ্যতালিকায় বিটরুট অবশ্যই নিতে হবে।
বিটরুট খারাপ কোলেস্টেরল কমায়
বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং বিটাসায়ানিন রয়েছে। তাই এর রং লাল ও বেগুনি। এটি এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের সমস্যায়ও এটি খাওয়া উপকারী।
শরীরে শক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে
যারা জিমে প্রচুর পরিশ্রম করেন এবং সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাদের জন্য বিটরুট খাওয়া খুবই উপকারী। বিটরুট খেলে এনার্জি লেভেল বাড়ে। এর পাশাপাশি এতে উপস্থিত নাইট্রেট উপাদান ধমনীর প্রসারণে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় বিটরুট নাইট্রেট সমৃদ্ধ। এটি খেলে নাইট্রাইট এবং গ্যাস নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়। এই দুটি জিনিসই আমাদের ধমনীকে প্রশস্ত করতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং ওজন কমায়
বিটরুটে রয়েছে ফাইবার, তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সর্বোত্তম প্রতিকার। এ কারণে খাবারও দ্রুত হজম হয়। বিটরুটে ক্যালোরি খুব কম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার বেশি থাকে, যার ফলে আপনি সহজেই ওজন কমাতে পারেন।
No comments: