বাচ্চাদের এই অভ্যাস গুলি শেখান, সবাই তাদের প্রশংসা করবে
শিশুরা নিষ্পাপ। তারা সঠিক বা ভুল বা ভাল বা খারাপ জানে না। তাই অভিভাবকদের উচিত শিশুকে অল্প বয়সেই কিছু সামাজিক দক্ষতা শেখানো। এর মাধ্যমে তারা ঘরে ও সমাজে ভালো জায়গা করে নিতে পারে। চলুন জেনে নেই তাদের সম্পর্কে...
সাহায্য করতে
বাচ্চাদের শেখান যে জীবনে কিছু পাওয়ার জন্য একে অপরের সমর্থন প্রয়োজন। এটি থেকে আপনি অন্যদের অনুভূতি এবং চিন্তা শিখতে পারেন। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের শেখান অন্যকে সাহায্য করতে।
শুনুন এবং অন্যদের জন্য কথা বলুন
কিছু শিশু সম্পূর্ণ নীরব থাকে, আবার অন্যরা কথা বলার সুযোগও দেয় না। এ জন্য পিতামাতার কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় অন্যের কথা শোনার অভ্যাস গড়ে তোলা। এ ছাড়া কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে নীরব না হয়ে উত্তর দিতে বলুন। এর সাথে তাদের বোঝান যে তারা অন্যের জিনিসগুলি ভালভাবে বোঝে এবং তাদের প্রতি মনোযোগ দেয়।
ভাগ করা এবং যত্ন নেওয়া
সাধারণত শিশুরা তাদের জিনিস অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করে না। এর পাশাপাশি একটি গবেষণা অনুসারে, শিশুরা যখন তাদের কাছে থাকে তখন তারা আরও বেশি জিনিস ভাগ করে নেয়। এছাড়াও যারা 3 থেকে 6 বছর বয়সী তারা বেশিরভাগই কিছুটা স্বার্থপর। একই সময়ে, 7 থেকে 8 বছর বয়সী শিশুরা অন্যদের সাথে জিনিস ভাগ করা শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার বাচ্চাদের মধ্যে প্রথম থেকেই ভাগ করে নেওয়ার এবং যত্ন নেওয়ার গুণটি তৈরি করা উচিত যাতে তারা সবার সাথে ভালভাবে থাকতে পারে। বাচ্চাদের বুঝিয়ে বলুন যে তারা অন্যদের জন্য সামান্য কিছু করলেও তারা ভেতর থেকে খুশি হবে। অন্যদের সাহায্য করার জন্য আপনি তাদের একটি ছোট পুরস্কারও দিতে পারেন।
নিজের কাজ করা
ছোটবেলা থেকেই প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত তাদের সন্তানদের নিজেদের কাজ নিজে করতে শেখানো। আপনি বাচ্চাকে তাদের খেলনা এক জায়গায় রাখতে, আলমারি সেট করতে ইত্যাদি শেখাতে পারেন। এতে শিশুর প্রতি দায়িত্ববোধ তৈরি হবে।
ব্যক্তিগত সময় প্রয়োজন
আপনার সন্তানকে শেখান যে প্রত্যেকের শারীরিক এবং মানসিক সীমানা আছে। প্রায়শই শিশুরা কারো সাথে এত বেশি মিশে যায় যে তারা তাদের ব্যক্তিগত স্থানও অন্য ব্যক্তিকে দেয় না। কিন্তু এর কারণে সামনের শিশুর মন খারাপ হতে পারে। এমতাবস্থায় ছোটবেলা থেকেই আপনার সন্তানদের এই বিষয়গুলো বোঝানো উচিত।
No comments: