স্বাস্থ্যবিধির এই নিয়মগুলি শিশুর জন্য প্রয়োজনীয়, যাতে তারা রোগ থেকে নিরাপদ থাকে
সারাদেশে করোনার তাণ্ডব যেন থামার নামই নিচ্ছে না। এই সময়ে, ছোট বাচ্চাদের যত্ন সহকারে স্বাস্থ্যবিধি যত্ন নেওয়া দরকার যাতে তারা এই সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকে। ছোট্ট একটা ভুলও শিশুকে অসুস্থ করে দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আজকে আমরা আপনাদের কিছু সহজ টিপস বলি। তাদের সাহায্যে, আপনি আপনার শিশুর ভাল যত্ন নিতে পারেন...
হাত ধুয়ে শিশুকে স্পর্শ করুন
নোংরা হাতে শিশুকে স্পর্শ করলে তারা দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে। এমতাবস্থায়, বাবা-মা এবং অন্যান্য লোকেদের উচিত ভালভাবে হাত ধোয়ার পরই শিশুটিকে ধরে রাখা। এর পাশাপাশি শিশুর এমনিতেই ফ্লু, সর্দি হলে রান্না করতে ভুল করবেন না। এটি আপনার সন্তানের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে রাখে। করোনার যুগে শিশুকে ঘর থেকে বের করা এবং কাউকে ধরা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
শিশুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখুন
অল্পবয়সী শিশুরা দ্রুত জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। সেজন্য তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। যদি আপনার শিশুর বয়স কয়েক মাস হয়, তবে তাকে 1 দিন বাদে গোসল দিন। এছাড়াও, একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে প্রতিদিন তার শরীর পরিষ্কার করুন। এ ছাড়া 2 বছর বয়সী শিশুদের প্রতিদিন গোসল করান এবং পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে তারা রোগ থেকে নিরাপদ থাকবে।
খেলনা পরিষ্কারের দিকেও খেয়াল রাখবেন
এছাড়াও শিশুর খেলনা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিষ্কার করার বিশেষ যত্ন নিন। আসলে, খেলার সময় শিশুরা প্রায়ই জিনিসগুলি ফেলে দেয়। তারপর মুখে নোংরা জিনিস রাখলে বা হাতে স্পর্শ করলে জীবাণু শরীরে চলে যেতে পারে। তাই গরম পানি ও ডেটল দিয়ে শিশুর জিনিস ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া মাঠ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর শিশুকে মেঝেতে খেলতে ছেড়ে দিন।
সময়ে সময়ে নখ ছাঁটা
ছোট বাচ্চাদের নখ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে সময়ে সময়ে এগুলো কাটতে থাকুন। আসলে, লম্বা নখ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের প্রবণতা বেশি। এর পাশাপাশি, শিশু তার মুখে বা শরীরে পেরেক দিয়ে আঘাত করে নিজেকেও আহত করতে পারে। এমতাবস্থায় সন্তান বড় হওয়ার সাথে সাথে তার নখ কাটা বাবা-মায়ের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই কাজটি খুব সাবধানে করুন এবং শিশুকে ঘুমানোর পরেই করুন।
সময়ে সময়ে ডায়াপার পরিবর্তন করা
শীতকালে ঠান্ডার কারণে শিশু বারবার ডায়াপার ভিজিয়ে দেয়। তাই বাবা-মায়ের বিশেষ যত্ন নিন এবং সময়ে সময়ে শিশুর ডায়াপার পরিবর্তন করতে থাকুন। তা না হলে নোংরা ও ভেজা ডায়াপার বেশিক্ষণ পরলে শিশু অসুস্থ হতে পারে।
No comments: