যেই ৫টি কারণে আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে পনির অন্তর্ভুক্ত করা উচিত

আপনি যদি ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু না হন তবে আসুন আপনাকে বলি যে পনির আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। আপনার হাড়কে মজবুত করা থেকে শুরু করে আপনার হার্টকে সুস্থ রাখা পর্যন্ত, পনির মানবদেহের উপকার করে যতক্ষণ না আমরা খুব বেশি খাই না।

হেলথলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পনির ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২, জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়ামের চমৎকার উৎস, যা দাঁতের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া এটি স্ট্রেস রিলিফ হিসেবেও কাজ করে। পনির ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন K2, সমৃদ্ধ, যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দূরে রাখে। এর পাশাপাশি, এনবিটি অনুসারে, প্রতিদিন এক টুকরো পনির খাওয়া এক গ্লাস দুধের মতোই উপকারী।

এখানে পনিরের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে:

১) ক্যাভিটি দূর করে: হেলথলাইন অনুসারে, পনির দাঁতের গহ্বর থেকে রক্ষা করতে খুব উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এটি দাঁতের চারপাশে প্রতিরক্ষামূলক ঢাল হিসেবে কাজ করে এবং এতে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড দাঁতের এনামেলকে রক্ষা করে। এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি দাঁতকে ভিতর থেকে মজবুত রাখে এবং ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে।

২) ওজন নিয়ন্ত্রণ করে: প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পনির খেলে পেশী তৈরি হয় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। আপনি যদি কিছু ওজন কমাতে চান তবে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পনির অন্তর্ভুক্ত করুন।

৩) অন্ত্রকে সুস্থ রাখুন: পনিরে রয়েছে ভাল মাইক্রো ব্যাকটেরিয়া যা অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এটি বিপাকীয় প্রক্রিয়া বাড়াতে এবং হজমের উন্নতি করতে কাজ করে। তাছাড়া পনির হল স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা শরীরে শক্তি জোগায়।

৪) মস্তিষ্কের জন্য ভাল: পনিরে ওমেগা ৩, ৬ এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের মতো ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্কে টনিক হিসাবে কাজ করে।

৫) মজবুত হাড় তৈরি করুন: ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হাড়কে মজবুত রাখে এবং বাচ্চাদের জন্য খুবই উপকারী। বয়স্কদের অস্টিওপোরোসিস থেকে বাঁচাতে পনিরও খাওয়া যেতে পারে। এই অবস্থায়, হাড়গুলি ফ্র্যাকচার, দুর্বল এবং ভঙ্গুর হওয়ার ঝুঁকিতে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।