কিডনি ঠিক রাখতে এই অভ্যাসগুলি ত্যাগ করুন
ভারতে কিডনি ব্যর্থতার ঘটনা বাড়ছে।প্রায়শই লোকেরা ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে সরাসরি মেডিকেল স্টোর থেকে মাথা ব্যথা ও পেট ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকেন। এগুলো কিডনির ক্ষতি করে।আজ আমরা সেই সব অভ্যাসের কথা বলব যা কিডনি ফেইলিওর করে।
বেশি লবণযুক্ত খাবার
অতিরিক্ত লবণ খেলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। লবণে উপস্থিত সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়ায়, যা কিডনির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
নন-ভেজ খাবার
মাংসে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকে। একটি উচ্চ প্রোটিন খাদ্য গ্রহণ কিডনির উপর বিপাকীয় লোড বাড়ায়, যা কিডনি পাথরের সমস্যা বাড়াতে পারে।
বেশি ওষুধ খাওয়া
ছোটখাটো সমস্যা হলে অ্যান্টিবায়োটিক বা বেশি ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস কিডনির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ ধরনের ওষুধ খাওয়া উচিৎ নয়।
মদ পান
অতিরিক্ত এবং নিয়মিতভাবে অ্যালকোহল গ্রহণ আপনার লিভার এবং কিডনির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয়ও ক্ষতিকর।
সিগারেট বা তামাক
সিগারেট বা তামাক ব্যবহারের ফলে টক্সিন জমে যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এটি রক্তচাপও বাড়ায়, যা কিডনিকে প্রভাবিত করে।
প্রস্রাব বন্ধ করে রাখা
প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রাশয় পূর্ণ হয়ে যায়।ইউরিন রিফ্লাক্সের সমস্যা হলে প্রস্রাব কিডনির দিকে উঠে আসে। এর ব্যাকটেরিয়ার কারণে কিডনিতে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পরিমাপ মতো জল পান
প্রতিদিন 8-10 গ্লাস জল পান করা প্রয়োজন। এর চেয়ে কম জল পান করলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন কিডনির কার্যকারিতায় খারাপ প্রভাব ফেলে। বেশি জল পান করলেও কিডনির ওপর চাপ বাড়ে।
অতিরিক্ত খাওয়া
সাধারণ মানুষের তুলনায় মোটা ব্যক্তিদের কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি অনেক গুণ বেশি। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়, তাই অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
কমপ্লিট স্লিপ
সমীক্ষা অনুসারে, যারা দিনে 7-8 ঘন্টার কম ঘুমান তাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।এমন পরিস্থিতিতে কিডনি রোগের সম্ভবনা বাড়ে।
No comments: