বোতলের দুধ ও জল থেকে শিশুকে দূরে রাখুন
একটি শিশুর জন্মের পর থেকে প্রায় তিন বছর বয়স পর্যন্ত যা কিছু খাওয়ানো হয়, সেগুলো তার জীবন ও অভ্যাসের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
এর মধ্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হল মায়ের দুধ, যাতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর উপাদান। মনে রাখবেন যে কোনও বয়সেই বাচ্চাদের বোতল থেকে দুধ বা জল দেওয়া উচিত নয়। এ ছাড়া অন্নপ্রাশনের পর থেকে শিশুর খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
চার মাস পর্যন্ত শিশুকে সম্পূর্ণরূপে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাস পর ফুটানো ঠাণ্ডা জল চামচ দিয়ে দিতে হবে।
প্রথম চার মাস বুকের দুধ খাওয়ান
প্রথম চার মাস শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাস থেকে ফুটানো ও ঠাণ্ডা জল চামচ দিয়ে দিতে হবে, তারপর ছোট গ্লাস দিয়ে দিতে হবে। ৬ মাস পর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জিনিস শিশুর খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ঘরে বানানো পরিজ, চালের পুডিং অল্প অল্প করে দিতে হবে। ষষ্ঠ মাস থেকে কলা দুধে মেখে একটু একটু করে দিতে হবে। ধীরে ধীরে আপেল, পেঁপে, চিকু, আমের মতো ফলও শিশুর খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
নয় মাস পর গরুর দুধ দিন
খুব ভালোভাবে রান্না করা শাকসবজি 7 মাস বয়সী শিশুকে মাখন দিয়ে খাওয়াতে পারেন। সপ্তম-অষ্টম মাসে মসুর ডাল বা খিচড়ি খুব ভালো করে সিদ্ধ করে মেখে দিতে হবে। নয় মাস বয়সী শিশুকে একটি গ্লাসের মাধ্যমে গরু বা মহিষের দুধ পাতলা করে দিতে হবে। মনে রাখবেন যে এর সঙ্গে সঙ্গে বুকের দুধও চালিয়ে যেতে হবে। এক বছর পর শিশুকে সুষম ও পরিপূর্ণ খাদ্য দিতে হবে।
জোর করবেন না
এখানে যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে তা হল, শিশুর বৃদ্ধির হার 0-1 বছরে তুলনায় অনেক কম। এমন পরিস্থিতিতে শিশুকে খাবারে বাধ্য করা উচিত নয়। সে যতটুকু খেতে চায় ততটুকুই তাকে খাওয়াতে হবে।
প্র ভ
No comments: