এই ট্রেনে ৭৩ বছর ধরে মানুষ বিনামূল্যে ভ্রমণ করে চলেছেন
এই ট্রেনটি হিমাচল প্রদেশ এবং পাঞ্জাবের সীমান্তে চলে। আপনি যদি ভাকরা নাগাল ড্যাম দেখতে যান, তাহলে আপনি বিনামূল্যে এই ট্রেন ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন। আসলে এই ট্রেনটি নাগাল থেকে ভাকরা ড্যাম পর্যন্ত চলে। গত ৭৩ বছর ধরে ২৫টি গ্রামের মানুষ বিনামূল্যে এই ট্রেনে যাতায়াত করছে।আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন যে, একদিকে যেখানে দেশের সব ট্রেনের টিকিটের দাম বাড়ানো হচ্ছে, অন্যদিকে মানুষ কেন এই ট্রেনে বিনামূল্যে যাতায়াত করে এবং রেলওয়ে কীভাবে তা অনুমোদন করে ?
আসলে, ভাগড়া বাঁধ সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই ট্রেন চালানো হয়। যাতে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় ভাকড়া বাঁধ কীভাবে তৈরি হয়েছে। তাদের জানা উচিত এই বাঁধ তৈরি করতে কী কী অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। ভাকরা বিয়াস ম্যানেজমেন্ট বোর্ড এই ট্রেনটি পরিচালনা করে। এই রেলপথ তৈরির জন্য পাহাড় কেটে দুর্গম পথ তৈরি করা হয়েছিল।
গত 73 বছর ধরে চলছে এই ট্রেন। এটি প্রথম 1949 সালে চালানো হয়েছিল।25টি গ্রামের 300 জন মানুষ প্রতিদিন এই ট্রেনে যাতায়াত করে।এই ট্রেন থেকে ছাত্ররা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়। ট্রেনটি নাঙ্গাল থেকে ভাকড়া বাঁধ পর্যন্ত চলে এবং দিনে দুবার যাতায়াত করে।ট্রেনটির বিশেষত্ব হল এর সমস্ত বগি কাঠের তৈরি। হকার বা আপনি এটিতে কোনও টিটিই দেখতে পাবেন না।
এই ট্রেন ডিজেল ইঞ্জিনে চলে। দিনে 50 লিটার ডিজেল খরচ হয়। এই ট্রেনের ইঞ্জিন চালু হলে ভাকরা থেকে ফিরে আসার পরই থেমে যায়। এই ট্রেন দিয়ে ভাকরার আশপাশের গ্রামের বড়মালা, ওলিন্দা, নেহলা ভাকরা, হান্দোলা, স্বামীপুর, খেদাবাগ, কলাকুন্ড, নাঙ্গল, সলংদী সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ যাতায়াত করে।
এই ট্রেনটি সকাল 7:05 টায় নাঙ্গল থেকে যাত্রা করে এবং ভাকরা থেকে 8:20 টায় নাঙ্গল ফিরে আসে। একই সময়ে আবার বিকেল 3:05 মিনিটে নাঙ্গল থেকে চলে এবং সন্ধ্যা 4:20 মিনিটে ভাকড়া বাঁধ থেকে নাঙ্গলে ফিরে আসে। নাঙ্গল থেকে ভাকরা ড্যাম পৌঁছতে ট্রেনটি প্রায় 40 মিনিট সময় নেয়। যখন ট্রেনটি চালু হয় তখন এতে ১০টি বগি চলত, কিন্তু এখন রয়েছে মাত্র ৩টি কোচ। এই ট্রেনে একটি কোচ পর্যটকদের জন্য এবং একটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।
প্র ভ
No comments: