প্রতিদিন এই সময় করুন বডি ম্যাসাজ ফিট এবং সুস্থ থাকার জন্য
নারকেল তেল:
নারকেল তেলকে সেরা তেল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এর বাইরে এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। এই তেলটি প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি চুলকে রেশমি এবং চকচকে করে তোলে। এটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং ত্বককে পরিষ্কার করে।
বাদাম তেল:
ম্যাসাজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত তেল হিসাবে বিবেচিত। এই তেল দুর্দান্ত গন্ধযুক্ত। এতে ভিটামিন-ই রয়েছে, যা ত্বককে রৌদ্র থেকে বের হওয়া অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এটিতে অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা দাদ, চুলকানি এবং চুলকানি থেকে মুক্তি দেয়।
সরিষার তেল:
সরিষার তেলকে ম্যাসাজের জন্য সেরা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি প্রদাহ হ্রাস করে। এর পাশাপাশি ব্যথা থেকে মুক্তিও পাওয়া যায়। শীতের সময় ত্বকে সরিষার তেল লাগালে ত্বক শুকায় না। সরিষার তেল ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধিকে ধীর করে দেয়। চুলে সরিষার তেল লাগালে চুল মজবুত ও লম্বা হয়।
জলপাই তেল:
হালকা ম্যাসাজ করতে চাইলে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকে আর্দ্রতা সরবরাহ করে এবং পেশীগুলি শিথিল করে। এটি শরীরে সঠিক রক্ত সঞ্চালনের দিকে পরিচালিত করে। শরীরে যদি কোনও ফোলাভাব বা ব্যথা হয় তবে জলপাই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি ফোলা এবং ব্যথায় আরাম দেয়। এছাড়াও, অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও উপশম হয়।
তিল তেল:
স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিশালী হাড় শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য তিলের তেলের চেয়ে ভাল তেল আর নেই। এতে কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন রয়েছে। তিলের তেল দিয়ে প্রতিদিন শরীরের ম্যাসাজ করা হাড়কে মজবুত করে এবং মনকে শান্ত করে। এটিতে ভিটামিন ই রয়েছে যা প্রসারিত চিহ্নকে হ্রাস করে। বর্ধমান বয়সের প্রভাবও হ্রাস করে।
কখন আমাদের ম্যাসাজ করা উচিৎ?
ম্যাসাজের জন্য সেরা সময়টি সকাল। স্নানের ৩০ মিনিট আগে ম্যাসাজ করুন। এর পরে স্নান করুন। ম্যাসাজ করার জন্য আপনি নিজের পছন্দের তেলটি ব্যবহার করতে পারেন। ১ মাস ধরে প্রতিদিন ১৫ মিনিটের জন্য শরীরের ম্যাসাজ করুন। এটি আপনাকে আরও ভাল ফলাফল দিতে পারে।
No comments: