জেনে নিন, নারকেল জল কীভাবে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়, তা পানীয় হোক বা মিষ্টি ফল। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়ই এই সমস্ত জিনিস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। যাতে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।কিন্তু অনেক সময় ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু জিনিস খাওয়া বলা পান উচিত কি না বা তাতে সুগার লেভেল বাড়বে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থাকে।
একইভাবে, ডায়াবেটিস রোগীদের সবসময় নারকেল জল খাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ এবং সন্দেহ থাকে।এটা সবারই জানা যে নারকেলের জল পান করলে শরীরের অনেক উপকার হয়। তাহলে ডায়াবেটিস রোগীরা কি নারকেল জল খেতে পারেন ?
জেনে নিই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নারকেল জল পানের উপকারিতা।
ডায়াবেটিস রোগীরা কি নারকেল জল পান করতে পারেন?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নারকেলের জলে ক্যালোরি নেই।এছাড়াও নারকেলের জলে ইলেক্ট্রোলাইট, পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন সি এর মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়।নারকেলের জল স্বাদে মিষ্টি হলেও এতে কোনো কৃত্রিম মিষ্টি নেই। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের নারকেল জল পান করলে সুগার লেভেল বাড়ে না।
নারকেল জল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
এটা সবারই জানা যে নারকেলের জল পান করলে অনেক রোগ প্রতিরোধ হয়। এছাড়া নারকেল জল খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে। আসলে, নারকেল জলে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরকে ইনসুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নারকেল জল খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে নারকেল জল পান করা উচিত
জার্নাল অফ মেডিসিনাল ফুড-এ
প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে,
যদিও নারকেল জল খাওয়া ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এতে ফ্রুক্টোজও রয়েছে।
তাই ডায়াবেটিস রোগীদের সীমিত পরিমাণে নারিকেল জল খাওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিন ১ কাপের বেশি অর্থাৎ ২৪০ মিলি নারকেল জল পান করা উচিত নয়।
(দাবিত্যাগ: আমরা উপরোক্ত নিবন্ধে উল্লিখিত অনুশীলন, পদ্ধতি বা দাবির কোনো সমর্থন করি না। এগুলি কেবল পরামর্শ হিসাবে নেওয়া উচিত। এই ধরনের চিকিৎসা/ওষুধ/খাদ্য প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে ভুলবেন না।)
প্র ভ
No comments: