প্রাকৃতিক পদ্ধতির উপর ভরসা রাখুন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে
মুখে সামান্য ঘামের আভাসমাত্র দেখা গেলেই হয় ফেস ওয়াশ, না হলে প্রবল জলঝাপটার আশ্রয় নিই আমরা। আর এর ফলেই ত্বকের শুষ্কতাও সারা বছর পিছু ছাড়ে না। এর সঙ্গে লড়াইটা কিন্তু চালিয়ে যেতেই হবে, তা না হলে সময়ের আগেই বলিরেখা পড়বে মুখে-গলায়।
আর্দ্রতার শুরুটা কোথায় হয় বলুন তো? জল খাওয়া দিয়ে। এমনি জল, ডাবের জল, দইয়ের ঘোল, ছাতুর শরবত, ফলের রস ইত্যাদি আপনার ত্বককে আর্দ্র রাখে প্রাকৃতিকভাবেই। তবে যাঁরা প্রচুর চা-কফি খান, তাঁদের আশ্বস্ত হওয়ার কিছু নেই। অতিরিক্ত ক্যাফেইন ত্বকের বারোটা বাজায়। যাঁরা সারাক্ষণ এসিতে থাকেন, তাঁরা ঘরে হিউমিডিফায়ার রাখার ব্যবস্থা করুন। মুখে খুব ঠান্ডা বা গরম জল দেবেন না। হালকা গরমজলে কাজ সারুন।
মুখ ধোয়ার সময় ভরসা রাখুন তেল, দুধ বা মধুর মতো প্রাকৃতিক উপাদানের উপর। ভালো নারকেল বা অলিভ অয়েল মুখে-গলায় ম্যাসাজ করে নিয়ে ভেজা তুলোয় মুছে জল ঝাপটে ধুয়ে নিন। সামান্য দুধ/ দই আর মধুর মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে এভাবে তুলোয় মুছে নিলেও ত্বক ঝলমলে পরিষ্কার থাকে।
এমন ময়েশ্চরাইজ়ার বাছুন যার মধ্যে প্রাকৃতিক তেল আছে। অ্যালো ভেরা জেল আর পছন্দের কোনও তেল মিশিয়ে নিজের ময়েশ্চরাইজ়ার বানিয়ে নিতে পারেন। তবে তা হয়তো বারবার লাগাতে হতে পারে। ওটমিল, জল আর মধু একসঙ্গে ভিজিয়ে রেখে মুখে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন সপ্তাহে দুবার – তার চেয়ে বেশি এক্সফোলিয়েশন নিষ্প্রয়োজন। মধু, ফল, তেল আর ডিমযুক্ত মাস্ক আপনার জন্য পারফেক্ট।
সব শেষে দেখে নিতে হবে আপনার খাবারে যথেষ্ট ফ্যাট আছে তো? অ্যাভোকাডোর মতো ফলে প্রচুর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। বাদাম, সূর্যমুখি ও কুমড়োর বীজেও তা মিলবে। খেতে পারেন নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় ঘি, মাখনও।
No comments: