চিকু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা আপনার অবশ্যই জানা উচিত

চিকু বা সবেদা পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং এটি ভিটামিন এ, সি এবং ই এর পাওয়ার হাউস। ফলটি পেট সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। চিকু খাওয়ার সময়, আমরা বেশিরভাগই অনুভব করি যে এর সজ্জা সূক্ষ্ম চিনির কণাতে ভরা।

এটাও বিশ্বাস করা হয় যে ১৯ শতকে চিকু প্রথম ভারতে এসেছিল। কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, বাংলা এবং তামিলনাড়ু ভারতের সর্বোচ্চ চিকু উৎপাদনকারী রাজ্য। চিকু চাষে ভারত বিশ্বের অষ্টম স্থানে রয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশে চিকু রপ্তানি করে।

চিকু হল খনিজ পদার্থের ভাণ্ডার

চিকুতে পাওয়া খনিজ ও ভিটামিন পরীক্ষা করার পর, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) জানিয়েছে যে ১০০ গ্রাম চিকুতে রয়েছে ৮৩ কিলোক্যালরি শক্তি, প্রোটিন ০.৪৪ গ্রাম, মোট চর্বি ১.১৯ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৯.৯ গ্রাম, খাদ্যতালিকাগত ফাইবার ১০ গ্রাম, ভিটামিন সি ৯। ১৪.৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১২ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ১৯৩ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২১ মিলিগ্রাম, কপার ০.০৮৬, আয়রন ০.৮০ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১২ মিলিগ্রাম এবং জিঙ্ক ০.১০ মিলিগ্রাম।

৭১ শতাংশ জল ছাড়াও, চিকুতে ১৪ শতাংশ চিনি রয়েছে। ফলে এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়।

* তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়

একজন সুপরিচিত খাদ্য বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টিবিদ নীলাঞ্জনা সিং-এর মতে, চিকুতে ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজের মতো সহজপাচ্য শর্করা থাকে। এটি চিনির একটি প্রাকৃতিক উৎস, যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। চিকু ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে এবং শরীরে উৎপাদিত টক্সিনগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। চিকুতে পাওয়া খনিজগুলি হাড়কে মজবুত করতে এবং জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।