এই রুটিনটি ঘুমানোর সময় আপনার ত্বকের যত্নে সাহায্য করবে
ব্রণ হওয়ার সমস্যা খুবই সাধারণ। বিশেষ করে গরমের দিনে। যদিও প্রায় সব ধরনের ত্বকের মানুষেরই এই সমস্যা থাকে, কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের মানুষ অন্য মানুষের তুলনায় বেশি এই সমস্যার সম্মুখীন হন। মানুষ ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন পণ্য এবং পদ্ধতি ব্যবহার করে, কিন্তু এই সমস্যা সহজে সমাধান হয় না। এটিও ঘটতে পারে কারণ আপনি ঘুমানোর সময় ত্বকের যত্নের রুটিন অনুসরণ করেন না, যা ব্রণ ভাঙার একটি বড় কারণ হতে পারে। আসুন জেনে নেই ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘুমানোর আগে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
মুখ ধোয়া এবং ম্যাসাজ অপরিহার্য:
ঘুমানোর আগে আপনার মুখ ধোয়া এবং ম্যাসাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ মানুষই ঘুমানোর আগে মুখ ধোয়ান না। তাই কিছু লোক তাদের মুখ ধুয়ে ফেললেও যখন এটি করার প্রয়োজন হয় তখন ম্যাসাজ করেন না। এতে মুখের ধুলো-ময়লা ও ঘাম দূর হয়, রক্ত চলাচলও ভালো হয়। এছাড়াও ভালো ঘুমও আসে। আসলে অনেক সময় ঘুমের অভাবে ব্রণের সমস্যাও শুরু হয়। ঘুম শরীরে হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়, যার কারণে এটি টিস্যু মেরামত ও পুনর্জন্মে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি কোলাজেনের উৎপাদন বজায় রাখতেও সাহায্য করে, যা শুধু ব্রণের সমস্যাই দূর করে না, বলিরেখা থেকেও মুক্তি দেয়।
চুল বেঁধে ঘুমান:
অনেকেই রাতে চুল খোলা রেখে ঘুমাতে অভ্যস্ত। যার কারণে ঘুমানোর সময় মুখে তৈলাক্ত লোম পড়ে যায়, যা ব্রণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও, বেশিরভাগ মহিলারা প্রতিদিন শ্যাম্পু করেন না, যার কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। তাই সবসময় চুল বেঁধে ঘুমান, তবে এটাও মাথায় রাখবেন চুল যেন বেশি টাইট না হয় বরং হালকা করে বেঁধে নিন যাতে চুল ভেঙে না যায়।
বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার পরিবর্তন করতে থাকুন:
অনেক সময় মানুষ একই বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার বেশ কয়েকদিন ব্যবহার করতে থাকে, যা ভালো নয়। এগুলোর ওপর জমে থাকা ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া ত্বকের নানা ধরনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর পাশাপাশি বালিশের কভারে মুখে উপস্থিত তেলও পাওয়া যায়, যা ব্রণ সৃষ্টি করে। তাই দুই-তিন দিনের মধ্যে বিছানার চাদর ও বালিশের কভার পরিবর্তন করতে থাকুন।
ঠিকমতো ঘুমানোও জরুরি:
অনেকে পেট ভরে ঘুমায়, আবার কেউ কেউ পাশে ঘুমায়। যা ব্রণের কারণ হয়ে উঠতে পারে। পেট ও পাশে ঘুমানোর কারণে মুখ বিছানার চাদর ও বালিশের কভারের সংস্পর্শে আসে। তাই বেশির ভাগ সময় আপনার পিঠের উপর ভর দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন, তাহলে এটি আপনার জন্য আরও ভালো হতে পারে।
No comments: