নিয়মিত কোন খাবার খেলে বয়সের ছাপ পড়বে না মুখে জেনে নিন
যে হারে স্ট্রেস আর দূষণ বাড়ছে তাতে আজকাল ২৯-র কোঠা পেরনোর আগেই ত্বকে পড়ছে বয়সের ছাপ, অকালেই বুড়িয়ে যাচ্ছে মানুষ। আর জানেন তো, একবার জরা স্পর্শ করলে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অ্যান্টি এজিং ক্রিমও আপনাকে পুরোনো মসৃণ পেলবতা ফিরিয়ে দিতে পারবে না? তাই সময় থাকতে সতর্ক হোন। স্ট্রেস তাড়াতে এমন কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত হোন যা করতে আপনার ভালো লাগে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারলে তো খুবই ভালো হয়। সেই সঙ্গে নজর দিন দৈনিক খাদ্যতালিকার প্রতিও। এমন খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায় যা অ্যান্টিঅক্সিডান্টে সমৃদ্ধ এবং ঠেকিয়ে রাখে ফ্রি র্যাডিকালসের আক্রমণ।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল:
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের মতো সর্বগুণসম্পন্ন ফ্যাট গোটা পৃথিবীতে খুব কম আছে। তা ত্বকের প্রদাহ কমাতে দারুণ কার্যকর, ঠেকায় সানবার্নও। যাঁরা নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাঁদের ত্বক বেশিদিন ভালো থাকে।
মাছ:
যে মাছে লং চেন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ যত বেশি, ত্বক ভালো রাখতেও সেই মাছ তত কার্যকর। তা হার্ট সুস্থ রাখে, কমায় ত্বকের প্রদাহ।
শাকসবজি:
তাজা, মরশুমি শাকসবজি ভালো করে ধুয়ে নিয়ে অবশ্যই খাবেন প্রত্যেক দিন। সবজিতে ক্যালোরির পরিমাণ কম, কিন্তু তা দারুণ পুষ্টিকর ও পেট ভরিয়ে রাখে বহুক্ষণ। ফলে শরীর ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। রঙিন শাকসবজি ও ফল অবশ্যই খান প্রত্যেকদিন।
অ্যাভোকাডো:
অ্যাভোকাডোতে যে ফ্যাট থাকে, তা আপনার হৃদযন্ত্রকে সচল ও সুস্থ রাখে। সেই সঙ্গে এর ভিটামিন ও মিনারেল সার্বিক সুস্থতা সুনিশ্চিত করে।
টোম্যাটো:
টোম্যাটোর লাইকোপিন ত্বককে বাঁচায় সান ড্যামেজের হাত থেকে। অলিভ অয়েলের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ব্যবহার করে টোম্যাটো রাঁধুন, তাতে লাইকোপিনের আত্তীকরণ সহজ হবে।
মশলা:
দারুচিনি, আদা, লঙ্কার মতো মশলা খাদ্যতালিকায় নিয়মিত থাকলে বয়স আপনাকে চট করে কাবু করতে পারবে না। বিজ্ঞানীরা বলেন, দারুচিনি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়, ফলে ত্বক স্থিতিস্থাপক থাকে বেশিদিন। আদার জিঞ্জেরল কমায় প্রদাহ আর বয়সজনিত দাগ-ছোপ। লঙ্কাও বয়সের আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখে সফলভাবে।
আখরোট:
আখরোটে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। তা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে, টক্সিনের ছাপ পড়তে দেয় না ত্বকে।
নারকেল তেল:
খুব ভালো মানের নারকেল তেলও ত্বককে সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকর। সম্ভব হলে প্রতিদিন রাতে নারকেল তেল লাগিয়ে রাখুন মুখে, পরদিন সকালে ধুয়ে নিলেই হবে। বলিরেখা ঠেকাতে এর জুড়ি নেই।
হলুদ:
আপনি মানুন অথবা না মানুন, আপনার অজান্তেই সূর্যালোক ত্বকের দারুণ ক্ষতি করে দেয়। কালো ছোপ বা ফ্রেকলস দেখা দেয়, রং পুড়ে যায়, ত্বক আর্দ্রতা হারায় ফলে ধীরে ধীরে তার স্থিতিস্থাপকতাও কমতে থাকে। এই পরিস্থিতি থেকে আপনাকে উদ্ধার করতে পারে হলুদ। রান্নায় খাওয়ার পাশাপাশি ফেস মাস্কেও হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।
বেদানা:
অ্যান্টিঅক্সিডান্টে ভরপুর বেদানা বজায় রাখে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা। ইলাস্টিসিটি কমলেই কিন্তু ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায়, তা ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সারিয়ে তুলতেও তার জুড়ি নেই।
No comments: