সাইবার সিকনেস সমস্যায় ভুগছেন? আজই সতর্ক হোন

 

আধুনিক সময়ে, মানুষের দুর্বল জীবনযাত্রার কারণে, অনেক ধরণের রোগ দেখা যায়। এই রোগগুলির মধ্যে একটি হল সাইবার সিকনেস। এর প্রধান কারণ হলো দীর্ঘদিন মোবাইল এবং ল্যাপটপের ব্যবহার।প্রায়ই দেখা যায় মানুষ সারা দিন ল্যাপটপে কাজ করেন। একই সময়ে আবার গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল স্ক্রোল করেন। এই সময়ে তার চোখ পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না। এর ফলে সাইবারসিকনেসের সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়ে, ব্যক্তির মধ্যে চোখে দংশন, বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, গভীর রাতে মোবাইল স্ক্রোলিং শুধু ঘুমকেই প্রভাবিত করে না, মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলে। এজন্য চোখকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া উচিত। আসুন, সাইবারসিকনেস সম্পর্কে সবকিছু জেনে নিন-

সাইবারসিকনেস কি ?

বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্ক একযোগে ইন্দ্রিয় থেকে সংকেত গ্রহণ করে। যখন সংকেতগুলি ভিন্ন হতে শুরু করে, তখন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রক্রিয়াটি বুঝতে সমস্যা হয়। এই ধরণের সমস্যা সাইবার-সিকনেসেও ঘটে। দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের সাথে লেগে থাকার কারণে চোখে দংশন, মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। সোজা কথায়, সাইবার সিকনেসে, চোখে তীক্ষ্ণ ছুঁচালো কাঁটার মতো জিনিস তৈরী হয়।স্ক্রিনের দিকে তাকানোর সাথে সাথে চোখের মধ্যে  সূঁচের মতো ছিদ্রের গায়ে সেগুলো লাগলে  দিশেহারা অবস্থাও দেখা দেয়। এই সময় মাথা ঘোরা শুরু হতে পারে।

সাইবার অসুস্থতার লক্ষণ

- চোখে কাঁটার মতো জিনিসের অনুভূতি 

- লাল চোখ

-মাথা ঘোরা

- বমি বমি ভাব

- চোখ থেকে জল পড়া

সাইবারসিকনেস থেকে সুরক্ষা

-কাজ করার সময় ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তু দেখুন। এখন দ্বিতীয় বস্তুর দিকে তাকান এবং তারপর ২০ সেকেন্ডের জন্য প্রথম বস্তুর দিকে তাকান।এটি সাইবার অসুস্থতা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

আবার আপনার চোখ বন্ধ করুন এবং তিনবার উপরে এবং নিচে সরান। তারপর বাম এবং ডান দিকে করুন। অবশেষে মেঝের দিকে তাকান।এটিও সাইবার সিকনেসে স্বস্তি দেয়।

তবে গুরুতর ক্ষেত্রে, অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

অস্বীকৃতি: গল্পের টিপস এবং পরামর্শ সাধারণ তথ্যের জন্য।ডাক্তার বা মেডিকেল প্রফেশনালের পরামর্শ হিসাবে এগুলো গ্রহণ করবেন না। অসুস্থতা বা সংক্রমণের লক্ষণগুলির ক্ষেত্রে, অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।