পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গুতে কতটা কার্যকরী
আজকাল দিল্লি-এনসিআর সহ দেশের অনেক এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরের ঢেউ চলছে। এই কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডেঙ্গু জ্বরের কোনো নিশ্চিত চিকিৎসা নেই। এমন পরিস্থিতিতে, এর জন্য অনেক ঘরোয়া প্রতিকার গ্রহণ করা হয়। ডেঙ্গু জ্বরে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল রোগীর রক্তে প্লেটলেটের অভাব। প্লেটলেট কমে যাওয়ার কারণে অনেক সময় রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে যায় এমনকি তার জীবনও চলে যায়।
প্লেটলেটের ঘাটতি রোধে বা ডেঙ্গু রোগীদের প্লেটলেট বাড়ানোর জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে পেঁপে পাতার রস খাওয়ানো হয়। এই চিকিৎসা খুব কার্যকর বলে মনে করা হয়। পেঁপে গ্রামে এবং শহরের প্রতিটি বাড়িতে বেশ সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু, বিজ্ঞানের চোখে এই চিকিৎসা কতটা কার্যকর, এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না চিকিৎসকরা।
ওয়েবসাইট indianpediatrics.net-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, পেঁপের তরল নির্যাসে প্যাপেইন, কাইমোপাপেইন, সিস্টাটিন, এল-টোকোফেরল, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, ফ্ল্যাভোনয়েড, সায়ানোজেনিক গ্লুকোসাইড এবং গ্লুকোসিনোলেট পাওয়া যায়। এগুলো সবই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এদের টিউমার বিরোধী কার্যকলাপ আছে। এগুলির সমস্ত উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
পেঁপে পাতার রস নিয়ে প্রাণীদের ওপর করা গবেষণায় ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। এই রস খাওয়ার ফলে পশুদের স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি হয়েছে। এটি তাদের মধ্যে প্লেটলেট এবং লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে।
এই রিপোর্ট অনুসারে, মালয়েশিয়ায়ও ট্রায়াল করা হয়েছে। ফলস্বরূপ, দেখা গেছে যে পেঁপের রস খাওয়ার ৪০ থেকে ৪৮ ঘন্টা পরে, প্লেটলেটের সংখ্যা বেড়েছে। অনুরূপ অন্যান্য পরীক্ষায়, প্লেটলেট বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।
গবেষণার উপর ভিত্তি করে এই ফলাফলটি খুব ছোট স্কেলে করা হয়েছে। এ নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোনো বিশেষ গবেষণা হয়নি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ পর্যন্ত করা গবেষণায় জানা গেছে যে, ডেঙ্গু একটি স্ব-সীমাবদ্ধ রোগ। এর মানে হল যে, এই রোগ ঔষধ দ্বারা নিরাময় করা হয় না, কিন্তু আমাদের শরীর নিজেই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। জ্বর কমার পর শরীর নিজেই প্লেটলেট বাড়াতে শুরু করে।
No comments: